মাগুরার মহম্মদপুরে উপজেলার ১৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে এ ভবনগুলো। আর এর মধ্যেই চলছে কোমলমতি ছাত্র- ছাত্রীদের পাঠদান। ভবনের ছাদ থেকে খসে পড়েছে পলেস্তরা। ছাদের কিছু স্থানে বের হয়ে আছে রড। এ ছাড়া বিভিন্নস্থানে রয়েছে বড় ফাটল। এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে ছোট ছোট কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। ফলে বিদ্যালয়ের ছাদ ধ্বসে পড়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশঙ্কায় আতঙ্কে রয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, মহম্মাদপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১৩৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৫টি বিদ্যালয়ের অবস্থা খুবই নাজুক। ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়গুলো হল চরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাওভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পানিঘাটা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোপালনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, যশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফলশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খলিশাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লাহুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মঙ্গলহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চৌবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পানিঘাটা দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পরমেশ্বরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সিন্দাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, কোনটির ছাদ দিয়ে পানি পড়ছে। আবার কোন বিদ্যালয়ের ভবন পরিত্যক্ত হওয়ায় জোড়াতালি দিয়ে টিনশেড ঘর নির্মান করে পাঠদান করা হচ্ছে। সেখানেও বৃষ্টির সময় পানি পড়ে। ঝড়ে টিন উড়িয়ে নিয়ে যায়। আবার শেণিকক্ষ সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে কোন কোন ভবন জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত হলেও ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করাতে হচ্ছে। ফলে সরাক্ষণই শিক্ষক শিক্ষার্থীরাদের আতঙ্কের মধ্যে পাঠদানসহ শিক্ষার যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে।
পানিঘাটা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) হিমিকা পারভিন বলেন, শ্রেণিকক্ষে গেলে ভবনের ফাটলের দিকে চোখ পড়লে আর পড়াতে মন চায়না। শ্রেণি সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে ক্লাস নেই। ভয় লাগে কখন ছাদ ধ্বসে প্রাণহানি ঘটে। খুব ভয়ে থাকি।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সানজিদা ও রাব্বি জানায়, ক্লাস করতে ভয় লাগে। কিন্তু স্যাররা ক্লাস করতে বলে তাই ক্লাস করি। একই শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী বলে, ক্লাসে ঢুকার আগে ছাদের দিকে তাকাই। খুব ভয় লাগে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) পলাশ মন্ডল ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ের সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, এসব বিদ্যালয়ের নামের তালিকা করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া কোন কোন বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন