কক্সবাজার শহর ও উখিয়া-টেকনাফে পৃথকভাবে ৪ জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরা তিনজনই বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে বলে দাবী করেছে পুলিশ।
টেকনাফ পুলিশের হাতে আটক হত্যা মামলার আসমী ও সন্ত্রাসীদের নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে সন্ত্রাসী দলের সাথে বন্দুকযুদ্ধে দুই সহোদয় নিহত হয়। তারা হচ্ছে উপজেলার হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়া এলাকার মৃত মাহমুদুর রহমান প্রকাশ বাইট্টা মাদুর দু’পুত্র আব্দুর রহমান (২৮) ও আব্দুস সালাম (২৬)। তারা এলাকায় সন্ত্রাসী ও ইয়াবা কারবারি বলে পরিচিত।
শুক্রবার (২৮জুন) মধ্যরাতে উপজেলার হ্নীলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিমে পাহাড়ে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় তারা নিহত হয়। ঘটনাস্থাল তল্লাসী চালিয়ে ২টি দেশীয় তৈরী এলজি, ৭ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১২ রাউন্ড খালি খোসা, ২টি কিরিচ ও ২টি ছাঁকু গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আব্দুর রহমান ও আব্দুস সালমকে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে পুলিশ পরিচয়ে বাড়ি থেকে তুলে নেয়ার দুইদিনের মাথায় রমজান আলী (৪০) নামের এক ইয়াবা ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ।
শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে কক্সবাজার শহরের ডায়াবেটিক পয়েন্ট থেকে গুলিবিদ্ধ লাশটি উদ্ধার করা হয়। দুপুরে রিপোর্ট লেখাকালে মরদেহটি জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
নিহত ব্যক্তি কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন ইসলামাবাদ লারপাড়া এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। পুলিশের দাবি, তিনি চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার কাছ থেকে অস্ত্র ও ইয়াবা পাওয়া গেছে।
এছারাও কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি’র অভিযানে বন্দুক যুদ্ধে এক জন রোহিঙ্গা ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে বলে জানাগেছে।
২৮ জুন শুক্রবার ভোরে কক্সবাজার জেলার উখিয়ায় রহমতের বিল এলাকায় বিজিবি'র সাথে বন্দুকযুদ্ধে ওই রোহিঙ্গা মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে ১৫ হাজর পিস ইয়াবা, ১ টি বন্দুক ও ২ টি খালি কার্তুজ উদ্ধার করে। এ সময় দুজন বিজিবি সদস্য আহত হয়।
অধিনায়কের পক্ষে অতিরিক্ত পরিচালক আশরাফ উল্লাহ রনি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সংবাদ নিশ্চিত করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন