শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

ধান-চাল মজুদে বাড়ছে ড্রামের কদর

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে মোঃ গোলাম ফারুক | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

দুপচাঁচিয়া উপজেলায় বোরো ধানের কাঁটা-মাড়াই প্রায় শুরু হয়েছে। এবার এ উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার আশংকা নিয়েই কৃষক-কৃষানীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ধান-চাল মজুদের ব্যবস্থা গ্রহন নিয়ে। তাই তো হাট-বাজারসহ গ্রাম-গঞ্জে ভাঁড় করে স্টিলের তৈরি বড় বড় এই ড্রাম বিক্রি হচ্ছে। এই সময় ড্রামের কদরও অনেক বেড়েছে।

বগুড়া তথা উত্তরাঞ্চলের শষ্য ভান্ডার হিসাবে পরিচিত দুপচাঁচিয়া উপজেলা। ২টি পৌরসভা আর ৬ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠীত এই উপজেলায় প্রচন্ড খড়া আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ধান কাঁটা-মাড়াই শুরু হলেও আর অল্প কিছু দিনের মধ্যে উপজেলার সর্বত্র পুরোদমে ধান কাঁটা-মাড়াই শুরু হবে। এখন কৃষকরা ধান কাঁটা তার পর বাড়িতে এনে মাড়াই এবং শেষে তা মজুদ করার ভাবনা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগে বাঁশের তৈরি সুনিপুন গোলা ধান মজুদের জন্য বিভিন্নহাট বাজারে বিক্রি হতো।

আধুনিকতার ছোঁয়ায় এবং বাড়িতে স্থান সংকুলন না হওয়ায় অনেকেই বাঁশের তৈরি এই গোলার পরিবর্তে স্টিলের তৈরি ড্রাম ক্রয়ে ঝুঁকে পড়েছে। এই সুজুকে এক শ্রেনীর মৌসুমী ব্যবসায়ী উপজেলায় এসে স্টিলের এই ড্রাম তৈরীসহ বিক্রির ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে। এমনি দু’জন ব্যবসায়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার হাবীব মোল্লার পুত্র তহিদ মোল্লা (৫০) ও একই উপজেলার পাশু মিয়ার পুত্র তাজুল ইসলাম (৩৮) জানান, তারা বেশ ক’জন উপজেলা সদরের দুপচাঁচিয়া আক্কেলপুর সড়কের সাহারা কোল্ড স্টোরের পাশে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছে। ঢাকা থেকে স্টিলের সিট ক্রয় করে নিয়ে আসে এবং ঐ সিট দিয়ে স্টিলের ড্রাম তৈরি করে। পরে ড্রামগুলো ভাঁড় করে গ্রাম-গঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে তা বিক্রি করে। ৩ মন চাল ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন প্রতিটি ড্রাম ৬ শ’ থেকে ৬ শ’ ৫০ টাকায় বিক্রি করে। আর ড্রাম প্রতি তাদের খরচ হয় ৫ শ’ টাকা। তারা দু’জন মিলে প্রতিদিন ১৬ থেকে ২০ টি ড্রাম বিক্রি করে থাকে।

কৃষকদের চেয়ে কৃষানীদের কাছে তারা এই ড্রামগুলো বেশী বিক্রি করে। দেখতে সুন্দর ও মজবুত এই ড্রামগুলো বাড়ির যে কোন ঘড়ে স্বল্প পরিসরে যে কোন জায়গায় রাখা যায়। সেই কারনেই সবার কাছেই এ ড্রামের কদর অনেক বেড়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন