পেয়ারা বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ফল। স্বাদে, গন্ধে ও পুষ্টিতে এ ফলের জুড়ি নেই। কাঁচা, পাকা পেয়ারা ছেলে-বুড়ো সবার মনই আকৃষ্ট করে। পেয়ারার ফল অনেকটা বারো মাস পাওয়া যায়। পেয়ারাতে ‘পেকটিন’ বেশি আছে বলে জ্যাম, জেলী নানা ধরণের প্রক্রিয়াজাত খাবার তৈরি করা যায়। এ ফল পুষ্টিতে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এতে সব ধরণের ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের পরিমাণ খুব বেশি। বাংলাদেশে নানা জাতের পেয়ারা ফল দেখা যায়। এগুলোর অধিকাংশই নিম্নমানের। ফলন কম, ফলের আকার ও স্বাদ ততটা ভালো নয়। গ্রামাঞ্চলে পেয়ারাকে কয়েক নামে ডাকে। কেউ ইবরি, কেউ গয়াম, সুপারি কেউ পেয়ারা। গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে কাজী পেয়ারা নামে একটি বড় জাতের পেয়ারার বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হচ্ছে। থাইল্যান্ড থেকে এই উন্নতজাতের এই পেয়ারার আমদানি করা হয়। এর একটি পেয়ারার ওজন প্রায় এক কেজি। তাই এ পেয়ারাকে কাজী পেয়ারা কেউবা আবার কেজি পেয়ারাও বলে থাকে। কাজী পেয়ারা দেখতে সুন্দর, মিষ্টি কচকচে অতি সুস্বাদু, বিচির পরিমাণ কম এবং ভেতরে খুব নরম ও সাদা। কাজী পেয়ারার ফলনও খুব বেশি। শীত, বসন্ত ও বর্ষা এই তিন মৌসুমেই প্রচুর ফলন পাওয়া যায়। গাছ লাগানোর পর কম সময়ে ফলন ধরতে শুরু করে। বছরে তিনবার ফুল আছে। ফাল্গুণ চৈত্র মাসের ফুলে বর্ষাকালে ফলন ধরে, জ্যৈষ্ঠ আষাঢ় মাসের ফুলে শীতকালে ফলন ধরে এবং আশ্বিণ কার্তিক মাসের ফুলে বসন্তকালে ফলন ধরে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন