মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

রামগতি-লক্ষীপুর সড়কে লাইসেন্সবিহীন বাস

রামগতি (লক্ষীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

লক্ষীপুর রামগতি সড়কে রুট পারমিট, লাইসেন্স, ট্যাক্স টোকেন, ইন্সুরেন্স, আয়কর না দিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে চলছে যাত্রীবাহী লোকাল বাস।

জানা যায়, লক্ষীপুর থেকে রামগতি পর্যন্ত দীর্ঘ ৫৬ কি.মি. সড়কে চলছে এ সকল অবৈধ বাস। সরকারকে বিশাল অংকের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি রুট পারমিট, লাইসেন্স, ট্যাক্স টোকেন, ইন্সুরেন্স, আয়কর না দিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে চালাচ্ছে লোকাল বাসগুলো। যার ফলে সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। অন্যদিকে শ্রমিক ও চালকদের নেই কোন বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স। বিভিন্ন শহর থেকে অচল পুরনো গাড়ি এনে রং করে অসাধু মালিকরা অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে রাস্তায় নামিয়ে দিচ্ছে এসকল অবৈধ লক্কড় ঝক্কড় বাস। সড়ক সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগকে মাসিক মাসোহারা দিয়ে বছরের পর বছর চলছে এ সকল অবৈধ যান।

ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান, মিশু নামের ৫ টি, অপূর্ব-৫ টি, সালমান, ইয়াছিন এন্ড তামিম, শিরিন সানজিদা এন্টারপ্রাইজ, অপূর্বা-৫টি, আজাদ, মায়ের দোয়াসহ বেশ কয়েকটি অবৈধ লোকাল বাস বহাল তবিয়তে রাস্তা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যুগে যুগে নেতারা এসকল গাড়ি থেকে প্রতিদিন জিপি আদায় করা হলেও তাদের কোন স্থায়ী স্ট্যান্ড নেই। ফলে সড়কে যানজট বিশৃংখলা হাঙ্গামা নিত্য দিনের ব্যাপার।

বিআরটিএ অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলা থেকে নিবন্ধন নেয়ার কথা থাকলেও জেলাতে কোন কাগজপত্র নেই। বাসগুলো কিভাবে চলছে তা তারা জানে না। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর নেই কোন তৎপরতা, তদারকি ও দায়বদ্ধতা।

অনভিজ্ঞ ড্রাইভারদের কারণে রাস্তায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এ পর্যন্ত অসংখ্য মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে অবৈধ বাসের অনভিজ্ঞ ড্রাইভাররা। অসংখ্য মানুষ অঙ্গ হারিয়ে চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। প্রশাসনের তদারকি না থাকার কারণে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ।

এ বিষয়ে বাস মালিক ইকবাল হোসেন খোকন বলেন, আমাদের লাইসেন্সে গাড়ি সারাদেশে চলতে পারবে। তবে কিছু গাড়ির সমস্যা আছে।
বিআরটিএ লক্ষীপুর সার্কেলের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, লক্ষীপুর-রামগতি সড়কে চলাচলকারী লোকাল বাসগুলোর রুট পারমিট, লাইসেন্স, ট্যাক্স টোকেন, ইন্সুরেন্স, আয়কর কিছুই নেই। আমাদের দপ্তর প্রায়ই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। খবর পেয়ে অবৈধ যানগুলো সরে যায়। অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রফিকুল জানান, বিষযটি জানা ছিলো না। অচিরেই অবৈধ যানবাহন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন