নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে : সৈয়দপুরের ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে বোতলাগাড়িতে সবচেয়ে বেশি মৌসুমী শাক-সবজি আবাদ হয়। ফলে এখানকার উৎপাদিত শাক- সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ বাইরের জেলাগুলোতে সরবরাহ করে থাকে। এই কারণে ইউনিয়নটি শাক-সবজির এলাকা হিসেবে সর্বত্র পরিচিতি লাভ করেছে। এসব শাক-সবজি চাষ করে ওই এলাকার কৃষকরা অভাবের ছোবল থেকে রক্ষা পেয়েছে। শীতের শাক-সবজি আবাদ করে তারা তাদের অভাব নামক কথার বিদায় জানিয়েছে। প্রতিদিনই সবজি বিক্রি করে জীবনযাত্রার মান বাড়াতেও সক্ষম হয়েছে। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪নং বোতলাগাড়ি তুলনামূলকভাবে অভাবী ও এলাকায় সেরকম কোন প্রতিষ্ঠান গড়ে না উঠায় বছরের প্রায় সময় এখানকার লোকজন বেকার জীবন-যাপন করতো। জীবনের প্রয়োজনে দরিদ্র ও হতদরিদ্র পরিবারগুলো জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্ণা দিতেন, কখন সরকারি খয়রাতি সাহায্য আসবে। এই এলাকার সারাবছর কোন কোন ফসল ফলানোর কারণে কর্মহীন ওইসব বেকার লোকদের কর্মের সংস্থান হয়েছে। বর্তমানে তারা ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, মুলা, লাউ, করলা, কাঁচা মরিচ, বরবটি, শিম, গাঁজর, টমেটো, ক্ষিরা, পালং শাক, নাপা শাক, লাল শাক, পাট শাক প্রভৃতি ক্ষেতে কেউবা স্প্রে করছে, কেউ সেচ দিচ্ছেন আবার কেউ পরিচর্যার কাজও করছেন। তাদের যেন দম ফেলার সময় নেই। এসব শাক-সবজি সৈয়দপুর বাজারে পাইকারদের কাছে বিক্রি করছেন। অনেক পাইকার ক্ষেত থেকেই এসব শাক- সবজি কিনে ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছেন ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায়। উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান সরকার জানান, তার ইউনিয়নের জমি শাক- সবজি চাষের উপযোগি। এ কারণে এখানকার ৮৫ ভাগ মানুষ শাক-সবজির চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন