শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

যমুনার ভূঞাপুর অংশে তীব্র ভাঙন, শতাধিক ঘর-বাড়ী নদীগর্ভে বিলীন

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০১৯, ৬:০৯ পিএম

চলতি বর্ষা মৌসুমে যমুনায় পানি বাড়ার সাথে সাথে নদীর পূর্ব পাড়ে ভূঞাপুর অংশে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে শতাধিক ঘর-বাড়ী নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আরও ৩ শতাধিক ঘর-বাড়ি যমুনার ভাঙনের কবলে রয়েছে। উপজেলার গোবিন্দাসী, গাবসারা ও অর্জুনা ইউনিয়নে এ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। তবে গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ি, কষ্টাপাড়া ও ভালকুটিয়া এলাকায় কয়েকদিনে শতাধিক ঘর-বাড়ি যমুনা গর্ভে চলে গেছে। খানুরবাড়ি গ্রামের আল মামুন বলেন, ‘ত্রিশ বছরের অধিক সময় ধরে এখানে বসবাস করছি। গত বছর বাড়ির কিছুটা অংশ ভেঙে গেছে। এ বছরও বাড়ির অর্ধেক যমুনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে এমন ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া ভাঙ্গন রোধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি উন্নয়ন বোর্ড টাঙ্গাইলের প্রকৌশলীদের দায়িত্বহীনতার কারণে দিন দিন ভেঙে যাচ্ছে নতুন নতুন ঘর-বাড়ি বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার গোবিন্দাসী হতে বঙ্গবন্ধু সেতুপ‚র্ব ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত প্রায় ১৮টি বালুর ঘাট তৈরি করেছে ক্ষমতাশীল বালু ব্যবসায়ীরা। তৈরিকৃত এই ঘাট থেকে শত শত ট্রাকযোগে বালু দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া যমুনা নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ভিট বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এ কারণে নদীতে ভাঙন বাড়ছে বলে ধারনা করছেন বিশেজ্ঞরা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ জানান, উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে নদী ভাঙনের বিষয়টি সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অর্জুনা ইউনিয়নের কুঠিবয়ড়া এলাকায় গাইড বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে।

টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন