গোলাম ফারুক, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে : বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ দিন যাবত বাবুর্চি ও আয়ার পথ শূন্য রয়েছে। অপর দিকে নৈশ প্রহরী না থাকায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন ধরনের চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। জানা গেছে, উপজেলা সদরের ৫০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি এ এলাকার স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র প্রতিষ্ঠান। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় দুপচাঁচিয়া উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী কাহালু ও আদমদিঘী উপজেলার এবং জয়পুরহাট জেলার কালাই, ক্ষেতলাল, আক্কেলপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের রোগীরা এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে থাকে। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি দীর্ঘ দিন যাবত বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুরুত্বপূর্ণ আয়ার ২ জন, বাবুর্চির ৩ জন ও নৈশ প্রহরীর ২ জন এর পদ থাকলেও দীর্ঘ দিন যাবত তা শূন্য রয়েছে। ফলে কর্তৃপক্ষ পিয়ন ও মালি দিয়ে কোন রকমে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাবুর্চি ও আয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইসিজি মেশিনের কার্ডিওগ্যাফার পদে এক জন, ইমারজেন্সি এটিডেন্স পদে এক জন লোক থাকার কথা থাকলেও দীর্ঘ দিন ধরে তাও শূন্য। সুইপার পদে ৫ জনের স্থলে কর্মরত রয়েছে মাত্র ২ জন। এ দিকে নৈশপ্রহরী না থাকায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২০ জানুয়ারি দিবাগত রাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উত্তর পার্শ্বের জানালার গ্রিল কেটে ইসিজি মেশিন ঘরের দরজার হ্যাজবল ভাঙতে ব্যর্থ হয়ে চোরেরা চলে গেছে। এর এক সপ্তাহ আগে টয়লেটের ফ্যান চুরি হয়েছে। এ ছাড়াও গত বৎসর হাসপাতালের স্টোর রুমের তালা ভেঙে ও বহিঃবিভাগের ওষুধ সরবরাহ কক্ষের তারা কেটে লক্ষাধিক টাকার মূল্যবান ওষুধ চুরির ঘটনাও ঘটেছে। এতো কিছুর পরও প্রশাসনের টনক না নড়ায় এবং গুরুত্বপূর্ণ নৈশপ্রহরীর পদগুলো শূন্য রয়েছে। পরিবার পরিকল্পনা স্টোর পাহারাদার আনসার দিয়ে রাতে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নৈশপ্রহরীর কাজ চালানো হচ্ছে। একজন এই নৈশপ্রহরী দ্বারা বিশাল এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাহারা দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চুরির প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহসিন আলী ফকির ‘দৈনিক ইনকিলাব’কে জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লোকবল সংকটের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয় প্রতিমাসেই জেলার মাসিক সভায় এ সমস্যার বিষয়টি উপস্থাপনও করা হয়। এরপরও লোক সংকট নিয়েই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চালানো হচ্ছে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. অর্ধেন্দুদেব-এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনবল সংকটের বিষয়ে ইতিমধ্যেই নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অচিরেই এ সমস্যার সমাধান হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন