নাটোরের লালপুর উপজেলার লালপুর-বিলমাড়ীয় সড়কটির কার্পেটিং ওঠে গিয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ৪ কিলোমিটার এই সড়কটি সংস্কার না করায় কার্পেটিং উঠেগিয়ে চলচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিনই বিলমাড়ীয়া, লালপুর, দুড়দুড়িয়া, বরবড়িয় এলাকার শিক্ষার্থীসহ প্রায় লক্ষাধিক মানুষ চলাচল করে। অথচ জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দীর্ঘদিন থেকে সংস্কারের অভাবে মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। তবুও প্রয়োজনের তাগিদে প্রতিনিয়তই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবেই চলাচল করছে এই এলাকার মানুষেরা।
সরেজমিনে গতকাল দেখা যায়, লালপুর বাজার থেকে বিলমাড়ীয়া বাজার পর্যন্ত ৪ কিলোমিটারের খানাখন্দে ভরা এই সড়ক দিয়ে হেলে-দুলে যানবাহন চলা চল করছে। সামনা-সামনি দুইটি গাড়ি এক সঙ্গে পার হবার উপাই নেই। ভাঙা স্থানে বৃষ্টির পানি জমে কাঁদার সৃষ্টি হয়েছে। তারপরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পথচারীরা চলাচল করছেন। এসময় কথা হয় সালাউদ্দিন নামের এক পথচারীর সঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই রাস্তটি দীর্ঘদিন থেকে কোন কাজ হয়নি। সমস্ত রাস্তার কার্পেটিং ওঠে গর্তে সৃষ্টি হয়েছে। দুইটা গাড়ি পার হতে পারে না, একটা গাড়িকে সাইড দিতে গেলে অন্যটি গর্তে পরে। সবচেয়ে বেশি বিপদে পরতে হয় অসুস্থ ও প্রসুতি রোগীদের নিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে। গাড়ি নিয়ে যাওয়ার কোন উপায় নেই।’
মহরকায়া ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী আইরিন আক্তার বলেন, ‘রাস্তটি এতো ভাঙা যে রোদ উঠলে ধুলা আর বৃষ্টি হলে কাদায় মাখামাখি হয়। চলাচল করাই মুশকিল।’
অটোচালক মুনছুর আলী ও রফিকুল ইসলাম বলছেন, ‘লালপুর থেকে বিলমাড়িয়া এই সড়কটি এতোই ভাঙা যে নতুন অটো নিয়ে কয়েকদিন চলাচল করলেই তা নষ্ট হয়ে যায়। তার পরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এমনিতেই পুরো রাস্তা ভাঙা তার পরেও সামনে বর্ষাকাল রাস্তাদিয়ে তো চলাচলই করা যাবে না। ’
জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে লালপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী ইনকিলাবকে বলেন, ‘লালপুর-বিলমাড়ীয়া সড়কটি সংস্কারের জন্য আমরা চেষ্টা করছি, স্থানীয় সংসদের মাধ্যমে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের মধ্যে সড়কটির দুই পাশে ৩ফিট করে মোট ৬ফিট প্রসস্তকরণসহ নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে সড়কটি নতুনভাবে সংস্কার করা হবে বলে তিনি জানান। ’
এ ব্যাপারে লালপুর উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.আলমগীরুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, ‘লালপুর-বিলমাড়ীয়া সড়কটি নতুনভাবে সংস্কারের জন্য আমরা আরসিআইপি প্রকল্পে নাম দিয়েছি এবং তা গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত রাস্তটি সংস্কার করা হবে বলে তিনি জানান।’
৪টি ইউনিয়নের প্রায় লক্ষধিক মানুষের দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে খুব দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকটে জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন