ভোটার তালিকার ছবি তোলার জন্য লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে জনতা পুলিশের হাতাতাতি এবং ক্যামেরা ও ল্যাপটপ ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে আব্দুল জব্বার রাবেয়া খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে রবিবার বিকেলে।
খালিয়াজুরী থানার অফিসার ইনচার্জ এ টি এম মাহমুদুল হক জানান, খালিয়াজুরী উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের লোকজন রবিবার আব্দুল জব্বার রাবেয়া খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোটার তালিকার ছবি তোলার জন্য আসেন। অপরদিকে কল্যাণপুর গ্রামের পিজন মিয়াসহ কয়েকজন ছাত্রী ছবি তোলার জন্য সেখানে আসে। কর্তব্যরত পুলিশের কনষ্টেবল মোঃ দিলোয়ার হোসেনের উপস্থিত লোকজনকে সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়ানো কথা বললে এ নিয়ে উপস্থিত লোকজনের সাথে পুলিশের বাক-বিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে জনতার সাথে পুলিশের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে কল্যাণপুর গ্রামের মোঃ গোলাপ মাস্টারের ছেলে পিজনের নেতৃত্বে ২০-৩০ জন লোক পুলিশ ও ভোটার তালিকা নিবন্ধন কার্যক্রমে কর্মরতদের ঘেরাও করে এবং এক পর্যায়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। তারা নির্বাচন অফিসের ক্যামেরা, ল্যাপটপ ভাংচুর করেন। এ সময় পুলিশ কনষ্টেবল মোঃ দিলোয়ার হোসেন জনতাকে শান্ত করতে গিয়ে তাদের হামলায় আহত হয়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, গ্রামবাসী আমার লোকজনসহ পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে নির্বাচনী অফিসের জিনিসপত্র ভাংচুর করেছে। এ ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শক্রমে সোমবার হামলাকারীদের বিরুদ্ধে খালিয়াজুরী থানায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্বাচন অফিসার বাদী হয়ে একটি ও পুলিশ বাদী হয়ে অপর একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলায় ৯ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে সোমবার আদালতে প্রেরণ করে ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন