তালুকদার মো. কামাল, আমতলী (বরগুনা) থেকে
প্রেসিডেন্টের আদেশ উপেক্ষা করে ক্ষমতা আকড়ে ধরে আছেন জাতীয়করণকৃত আমতলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ। প্রজ্ঞাপনটি জারি হয় ১৩ এপ্রিল ২০১৬ খ্রি.। ২১ জুলাই ১৯৬৯ সনে তৎকালীন এমপিএ মফিজ উদ্দিন তালুকদার আমতলী ডিগ্রি কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রায় অর্ধশতাব্দীকাল পরে গত ৭ এপ্রিল ২০১৬ খ্রি. আওয়ামী লীগ সরকার কলেজটি জাতীয়করণ করেন। সরকারিকরণ করার পর ১৩ এপ্রিল ২০১৬ খ্রি. প্রেসিডেন্ট একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেন, যার অনুলিপি প্রদান করা হয় অধ্যক্ষ বরাবর, যার ক্রমিক নং-১৪। ১৪নং ক্রমিকের বন্ধনীর মধ্যে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে যে, “পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত সর্বজ্যেষ্ঠ শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করবেন’’। কিন্তু এই আদেশ উপেক্ষা করে বর্তমান অধ্যক্ষ ক্ষমতা আকড়ে ধরে আছেন। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কলেজের সর্বজ্যেষ্ঠ শিক্ষকের নিকট পরের দিনই ক্ষমতা হস্তান্তর করার কথা। কিন্তু তিনি তা করেননি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষের চেয়ে ২ জন শিক্ষক সিনিয়র রয়েছেন। ১ জন আ. লতিফ মিয়া ও অপরজন গাজী আব্দুল মান্নান। আ. লতিফ মিয়া চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার শেখ মজিবুর রহমান কলেজে ২২ নভেম্বর ১৯৮২ ইং তারিখ প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। সেখান থেকে কুমিল্লা জেলার হোমনা কলেজ হয়ে ২৬ ডিসেম্বর ১৯৮৫ ইং তারিখ আমতলী ডিগ্রি কলেজে যোগদান করেন। অপরদিকে, গাজী আব্দুল মান্নান ১ ডিসেম্বর ১৯৮৪ ইং তারিখ আমতলী ডিগ্রি কলেজে যোগদান করেন। অধ্যক্ষ মজিবুর রহমানের সাথে মোবাইলে (০১৭৪৯-৭১৮৪১৫) আলাপকালে তিনি বলেন, যেসব কলেজে অধ্যক্ষ নেই, সেই কলেজের জন্য সর্বজ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন