স্থির মূল্য (ফিক্সড প্রাইজ) এবং বুক বিল্ডিং উভয় ক্ষেত্রের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোটা বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে কমানো হয়েছে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কোটা।
পাশাপাশি প্লেসমেন্ট শেয়ার বা প্রাথমিক গণপ্রস্তাব পূর্ব ইস্যু করা শেয়ারে লক-ইন দুই বছর এবং উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ারের তিন বছর লক-ইন আরোপ করা হয়ছে। আইপিও কোটা ও লক-ইনের ক্ষেত্রে এমন বিধান রেখে পাবলিক ইস্যু রুলসের সংশোধনী চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম. খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৬৯৩তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। ইস্যু রুলসে সংশোধনী আনার ফলে এখন থেকে বুক বিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে যোগ্য বিনিয়োগকারীর কোটা ৬০ থেকে কমে ৫০ শতাংশ হবে। সাধারণ বিনিয়োগকারীর কোটা ৩০ থেকে বেড়ে ৪০ শতাংশ হবে।
অন্যদিকে স্থির মূল্যে পাবলিক ইস্যুর ক্ষেত্রে যোগ্য বিনিয়োগকারীর কোটা ৪০ থেকে কমে ৩০ শতাংশ হবে। সাধারণ বিনিয়োগকারীর কোটি (এনআরবি ব্যতীত) ৪০ থেকে বেড়ে ৫০ শতাংশ হবে। এদিকে শেয়ার লক-ইন’র ক্ষেত্রে আনা সংশোধনীর ফলে, এখন থেকে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের সাধারণ শেয়ারের ওপর লক-ইন এক্সচেঞ্জে লেনদেনের শুরুর দিন থেকে গণনা শুরু হবে।
কোম্পানির উদ্যোক্তা, পরিচালক এবং ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ারের ওপর লক-ইন তিন বছর হবে। এছাড়া চার বছর বা তার পূর্বে শেয়ার বণ্টনের মাধ্যমে প্রাপ্ত শেয়ারের ওপর এবং অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের ধারণ করা শেয়ারের ওপর লক-ইন এক বছর হবে। অন্য ক্ষেত্রে শেয়ারের লক-ইন দুই বছর। আইপিও এবং শেয়ার লক-ইন’র ক্ষেত্রে এমন বড় পরিবর্তন আনার পাশাপাশি পাবলিক ইস্যু রুলসে আরও ১৯টি বিধান রাখা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন