এস কে সাত্তার, ঝিনাইগাতী (শেরপুর ) থেকে
ঝিনাইগাতী গারো পাহাড়ে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো ‘ছন’ এখন আর তেমন একটা চোখে পড়ে না। ফলে সাধারণ গ্রামীণ মানুষ ঘর-বাড়িতে ছাউনি হিসেবে ছনের ব্যবহার আগের মত আর করতে পারছেন না। অথচ মাত্র ১০/১৫ বছর আগেও ঝিনাইগাতীর গারো পাহাড়ী এলাকায় প্রচুর পরিমাণে ছন উৎপন্ন হতো। বর্তমানে গারো পাহাড়ের ঢালু কিংবা উপরিভাগে বিভিন্ন বিদেশী প্রজাতির কাঠ গাছের বাগান এবং পাহাড় ন্যাড়া করা, অবাধে পাহাড় কাটা এবং পহাড়ে আগুন লাগিয়ে জংগল পরিষ্কারসহ বিভিন্নভাবে পাহাড় ধ্বংসের কারণে ‘ছন’ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। উল্লেখ্য যে, এককালে গোটা গারো পাহাড় জুড়ে প্রাকৃতিক গাছের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ‘ছন’ উৎপন্ন হতো। এসব ছন গ্রামীণ এলাকার লোকজন ঘরের ছাউনী-জ্বালানি, ঝাড়ু তৈরি এবং গরু-মহিষের খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার করতো। কিন্তু কালক্রমে গরীবের ঘরের ছাউনী সেই ছন আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। ফলে দরিদ্র শ্রেণির মানুষ খড়ের (ছনের) ঘর তৈরি করতে গিয়ে পড়ছে মহাবিপাকে। অথচ বন বিভাগের এদিকে নেই কোন দৃষ্টি। বনাঞ্চলে নির্বিচারে আগুন জ্বালিয়ে জঙ্গল পরিষ্কার না করলে আবারও গারো পাহাড়ে ‘ছন’ জন্মাবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন পাহাড়ী এলাকার লোকজন। গরীবের ধন-ছন যাতে বিলুপ্ত না হয় এবং তারা বাড়ি-ঘর তৈরিতে সমস্যায় না পড়ে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেদিকে দৃষ্টি দেবেনÑএ প্রত্যাশা উপজেলার সিংহভাগ হতদরিদ্র মানুষের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন