নিজেদের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজের পরই শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচিং স্টাফে আসছে পরিবর্তন। দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী হারিন ফার্নান্দো বৃহস্পতিবার এই ষোষণা দিয়েছেন।
২৬ জুলাই থেকে শুরু হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা তিন ম্যাচের এই সিরিজ। সিরিজ শেষে লঙ্কান দলের পুরো কোচিং স্টাফকে পদত্যাগ করতে বলেছেন হারিন। এ বিষয়ে তিনি বোর্ডকে চিঠি লিখেছেন। ক্রীড়া মন্ত্রীর এমন আহবানের পর দলের কোচিং স্টাফকে পদত্যাগের আহবান জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হওয়া লঙ্কান দলটি মাত্র তিন ম্যাচে জয়ী হয়ে ষষ্ঠ স্থানে থেকে টুর্নামেন্টে শেষ করে।
ক্রীড়া মন্ত্রী দেশের ক্রিকেট বোর্ডকে দুর্নীতি মুক্ত করতে এবং খেলার মানোন্নয়নে সাবেক সৎ ও সম্মানিত ক্রিকেটারদের নিয়ে খেলটি পরিচালনারও আহবান জানান। এসএলসি সভাপতি শামি সিলভা বলেন, ‘আমাদের ভাবনাও একই। সবার আগে মন্ত্রীর সাথে আমাদের কথা বলা দরকার।’ তিনি আরো বলেন, ‘কোচিং স্টাফের বিষয়ে দলের কিছু বলার নেই। কেবলমাত্র তখনই সমস্যা হতে পারে যদি কোচদের সঙ্গে খেলায়াড়রা মিলিয়ে যায়। এটা বাংলাদেশ সিরিজে কোন প্রভাব ফেলবে বলে আমি মনে করি না।’
শ্রীলঙ্কার কোচিং স্টাফদের মধ্যে বর্তমানে প্রধান কোচ হিসেবে আছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, ব্যাটিং কোচ জন লুইস এবং ফিল্ডিং কোচ স্টিভ রিক্সন। এমএলসি সভাপতি বলেন, বর্তমান কোচিং স্টাফদের মধ্যে কেউ কেউ ঠিকমত দায়িত্ব পালন করছেন এবং বিশ্বকাপ পারফরমেন্স পর্যালোচনা শেষে তাদের ভাগ্য নির্ধারিত হবে, ‘কয়েকজন ভাল করছেন। বিশ্বকাপের আগে আমরা একটা মূল্যায়ন করেছি। তবে বিশ্বকাপ শেষে এখন আমাদের আরেকটা মূল্যায়ন করা দরকার। সেটা শেষেই আমরা মন্ত্রীর সাথে আলোচনায় বসব এবং দেখব কি হয়।’
বিশ্বকাপ শেষেই রিক্সন ও লুইসের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। প্রধান কোচ হাথুরুর সঙ্গে এখনো ১৬ মাসের চুক্তি রয়েছে। তিনি নিজের চুক্তির মেয়াদ শেষ করতে চান। এমনকি আবারো নতুন চুক্তি আশাও করছেন। তবে সেটা বোধ হয় সম্ভব হচ্ছে না কোন কিছু না বলেই বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব থেকে সরে গিয়ে নিজ দেশের দায়িত্ব নেয়া হাথুরুর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন