টানা কয়েক দিনে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের পদ্মা নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধিতে ডুবে গেছে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের ২টি যাত্রী পারাপার ব্রিজ। ব্রিজ পানিতে ডুবে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন লঞ্চ যাত্রীরা।
অপর দিকে গত ৪দিন ধরে দৌলতদিয়া ঘাটে যানজটের সৃষ্টি আটকা পড়ে কয়েক শত বাস, ট্রাক সহ ছোট যানবাহন। পদ্মা নদী তীব্র স্রোতের বিপরীতে ফেরীগুলো চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
শনিবার দুপুরে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, লঞ্চ ঘাটের ২টি যাত্রী পারাপারের ব্রীজের একাংশ পানিতে ডুবে গেছে। বিআইডব্লিউটিএ’র ব্রীজের যে অংশ পানিতে ডুবে গেছে তা বালির বস্তা ফেলছে শ্রমিকরা। অপর দিকে দৌলতদিয়া ফেরী ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদী পাড়ের অপেক্ষায় রয়েছে কয়েক শত পণ্যবাহী ট্রাক। থেমে থেমে যাত্রী বাহী পরিবহনের লম্বা লাইন ও কাচামাল বাহী ট্রাকের সিরিয়াল থাকলেও তা অগ্রাধিকার দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের ম্যানেজার নুরুল আনোয়ার মিলন, দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে ১৮টি লঞ্চ সার্বক্ষণিক যাত্রী পারাপার করছে। এছাড়া আরো ৪টি লঞ্চ ডর্কএয়ারে মেরামত কাজ চলছে। নৌরুটের দৌলতদিয়া ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে পাটুরিয়ায় পৌছাতে স্বাভাবিক সময়ে ২০/২৫ মিনিট সময় লাগতো। কিন্তু পানি বৃদ্ধি ও স্রোতের কারণে বর্তমানে এ ঘাট থেকে পাটুরিয়া যেতে ৩০/৪০ মিনিট এবং পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে আসতে প্রায় ১ ঘন্টার মতো সময় লাগে।
বিআইডবিøউটিএ’র লঞ্চ ঘাটের দায়িত্বরত ট্রাফিক সুপারভাইজার মো. কোরবান আলী জানান, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১২ সে.মি পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের যাত্রী ব্রীজে পানি উঠে যাওয়ায় যাত্রীদের দূর্ভোগ কমাতে গত এক সপ্তাহ যাবৎ বালির বস্তা ফেলে উচু করে রাখা হয়েছে।
দৌলতদিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রাইডার মোঃ ইদ্রিস আলী জানান, পদ্মার পানি দ্রæতগতিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় দৌলতদিয়া পয়েন্টে বিপদ সীমার ৫৮ সে.মি. উপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ অঞ্চলে স্বাভাবিক পানির স্তর ৮.৬৫ সে.মি.। শুক্রবার বিকেল ৩টায় পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া পয়েন্টে পানির স্তর ছিল ৯.২৩ সে.মি.।
বিআইডব্লিউটিএর ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ জানান, পদ্মা নদীতে প্রচন্ড স্রোত থাকায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ফেরিগুলো নদী পারাপারে তিনগুন সময় ব্যয় হচ্ছে। তাছাড়া এ রুটে চলাচল করা ১৪টি ফেরির মধ্যে ২টি ফেরি যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে স্রোতের সাথে কুলিয়ে উঠতে না পারায় বসা আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন