কাপ্তাই চন্দ্রঘোনাস্থ হাফছড়ি এলাকায় ব্রিজ নির্মাণ কাজের চাঁদা না দেয়ায় আবারও সন্ত্রাসীদের শস্ত্রাস হামলায় ১০ নির্মাণ শ্রমিক আহত, ২ জন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এলাকায় এ নিয়ে আবারও আতংক বিরাজ করছে। কাপ্তাই এলজিইডির সিএইচটি প্রকল্পের ৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যায়ে ব্রিজসহ আঁধা কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজ করানো হচ্ছে। গত শুক্রবার বিকাল ৩টায় নির্মাণ শ্রমিকরা কাজ শেষে খাওয়ার সময় একদল উপজাতীয় সন্ত্রাসী নির্মাণ শ্রমিকদের ওপর অতর্কিত হামলা করে শ্রমিকদের রক্ষিত টাকা-পয়সা ও মোবাইল নিয়ে যায়। এ সময় শ্রমিকদের বেদম প্রহার করে এবং ব্রিজ নির্মাণে চাঁদা না দিলে এ রকম হামলা চলবে বলে শাসিয়ে যায়। সহকারী ঠিকাদার সেকান্দার হোসেন জানান, ১৪ জন শ্রমিক কাজ শেষ করে খেতে বসছে, এ সময় সস্ত্রাসীরা ওদের ওপর অর্তকিত হামলা করে।
মোবাইলসহ টাকা পয়সা নিয়ে যায়। সস্ত্রাসীদের হামলায় ১০ জন শ্রমিক আহত হয়। এর মধ্যে জাবেদ (৩২), ফয়সাল (২৭), রাজন (২৮) ও আব্দুর রহমান (২৭) গুত্বরভাবে আহত হয়। এদের চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টিয়ান হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এর মধ্যে শ্রমিক আরফাত (২৫) এবং ফোরকান (২৪) নিখোঁজ থাকায় গতকাল শনিবার তাদের খোঁজ পাওয়া যায়।
এদিকে ঠিকাদার মো. ফারুকের সাথে আলাপকালে বলেন, আমরা গত বছর এ ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু করি। শুরু থেকে উপজাতীয় জেএসএস নামধারীরা ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। তাদের বারবার বাঁধা ও হামলার ফলে নির্মাণ কাজ করতে বিঘ্ন হচ্ছে। কয়েক দফা আমার নির্মাণ শ্রমিকদের ওপর হামলার পর চন্দ্রঘোনা থানা মামলা এবং লিখিতভাবে প্রশাসনকে পূর্ব থেকে জানিয়ে রেখেছি বলে উল্লেখ করেন। ঘটনার পরপর বিজিবি ও চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
পুনরায় আমার শ্রমিকদের ওপর ঐ সন্ত্রাসীরা চাঁদার দাবি করে অতর্কিতভাবে হামলা করে। এবং ২ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। আমি এ ব্যাপারে প্রশাসনের নিকট নিরাপত্তা চাই। এদিকে হামলার কারনে আবারও নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। এদিকে কাপ্তাই জেএসএস সভাপতি বিক্রম মারমার নিকট হামলার ঘটনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার দলের লোকেরা এ ধরনের ঘটনা কখনও ঘটাবে না। জেএসএসের নাম দিয়ে হয়তো মগপর্টি এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন