নরসিংদীতে ডাকাতি ও ছিনতাই ঘটনা বাড়ছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় রায়পুরার দুর্গম চরাঞ্চলের মেঘনা নদীতে সংঘটিত হয়েছে এক রক্তক্ষয়ী নৌ-ডাকাতি। স্পিডবোট আরোহী ডাকাতদের গুলিতে মোন্তাজ উদ্দিন (৪০) নামে এক গরু ব্যবসায়ী নিহত এবং আসাদ মিয়া (৩০) ও মানিক (৩৫) নামে আরো দুই গরু ব্যবসায়ী আহত হয়েছে। আহত দুই গরু ব্যবসায়ীকে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতাল এবং পরে সেখান থেকে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
জানা যায়, সপ্তাহের প্রতি শনিবার পাশবর্তী নবীনগর উপজেলা সলিমগঞ্জে বিশাল গরুরহাট বসে। এই হাটে রায়পুরার বিভিন্ন অঞ্চলসহ নরসিংদীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বহু সংখ্যক গরু ব্যবসায়ী নৌকাযোগে গরু নিয়ে বেচাকেনা করে। সারাদিন গরু বেচা কেনা শেষে বিকেলের দিকে নৌকা নিয়ে আবার যার যার গন্তব্যে ফিরে যায়। গত শনিবার সারাদিন সলিমগঞ্জ বাজারে গরু বেচাকেনা শেষে মোন্তাজ উদ্দিন, আসাদ মিয়া ও মানিক মিয়া একটি নৌকা নিয়ে নিলক্ষার উদ্দেশে রওনা দেয়। নৌকাটি মেঘনার মাঝপথে পৌঁছলে স্পিডবোট আরোহী সশস্ত্র ডাকাতরা নৌকাটিকে ধাওয়া করে। নৌকার পেছনে ডাকাত পড়ার ঘটনা টের পেয়ে নৌকার মাঝি নৌকার গতিপথ ঘুরিয়ে চনপাড়া নামে একটি চড়ের দিকে নিয়ে যায়। এ সময় স্পিডবোট আরোহী ডাকাতরা গরু ব্যবসায়ীদেরকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এতে গরু ব্যবসায়ী মোন্তাজ উদ্দিন মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। মারাত্মক আহত হয় আসাদ মিয়া ও মানিক মিয়া। আহত অবস্থায় আসাদ মিয়া মানিক মিয়া চিৎকার করতে থাকলে আশেপাশের লোকজন দৌড়ে ঘটনাস্থলের দিকে যেতে থাকে।
এ অবস্থায় ডাকাতরা পুনরায় স্পিডবোটযোগে গভীর মেঘনায় পালিয়ে যায়। ঘরে লোকজন আহতদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও পরে সেখান থেকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। নিহত গরু ব্যবসায়ী মোন্তাজ উদ্দিন রায়পুরা উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের সাধু মিয়ার পুত্র। ব্যবসায়ী আসাদ মিয়া একই উপজেলার চরসুবুদ্ধি এবং মানিক মিয়া বাহেরচর গ্রামের বাসিন্দা।
উল্লেখ্য যে, গত মাসাধিককাল ধরে নরসিংদী শিবপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কমবেশি ১৫/২০ টি ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। নরসিংদী শহরে সংঘটিত হয়েছে কয়েকটি ছিনতাই। এছাড়া প্রায়ই নরসিংদী শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছোটখাট ছিনতাই সংঘটিত হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন