পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার রোগীর দুয়ারে আসছে ভাসমান হাসপাতাল। নদী বেষ্টিত উপজেলার নদী যখন রোগীদের হাসপাতালে যেতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তখন রোগীদের পাশে চিকিৎসাসেবা দিতে উপস্থিত এ ‘ইমপ্যাক্ট জীবনতরী’ ভাসমান হাসপাতাল। নাক কান ও গলা রোগের চিকিৎসা, জন্মগত মুগুর-পা, বাঁকা-পা, ঠোট কাটা, তালুকাটা চিকিৎসা ও অপারেশন করা হয় এখানে। বিশেষ করে সল্প আয়ের মানুষের জন্য জীবন তরী হাসপাতাল এক অন্যন্যে নাম হয়ে দাড়িয়েছে। ইতোমধ্য এ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা নিতে গ্রাম-গঞ্জ ছাড়াও ভিড় জমাতে শুরু করে দিয়েছে দূরদুরান্তের মানুষ।
প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে ওই স্থানে রোগী ভিড় করতে করে। রোগীদের বসার জন্য নদীর পাড়ে ভাসমান ওই হাসপাতালের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে অস্থায়ী ব্যবস্থা। রয়েছে টিকিট কাউন্টার। কাউন্টারে মাত্র ৫০ টাকা দিয়ে টিকেট কেটে সিরিয়াল করে রোগী দেখা হচ্ছে এখানে। প্রতিনিয়ত সকাল নয়টা দুপুর দুটো পর্যস্ত চলে চিকিৎসা ব্যবস্থা। কখনো রোগীর সংখ্যা বুঝে অনেক সময় বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা পর্যন্তও চলে রোগী দেখার পালা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা এখানে দেয়া হয় রোগীদের ব্যবস্থাপত্র। অবস্থা ভেদে নাক, কান, গলা অপারেশন, হাড়ভাঙা, ক্লাব ফুট (মুগুর পা) রোগীদের ভাসমান হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, এখানে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ সল্প খরচে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। মানুষের অনুরোধে এখানে তারা হাসপাতাল নোঙর করেছেন।
তারা জানান, এখানে নাক, কান ও গলা রোগের চিকিৎসা, জন্মগত মুগুরপা বাঁকাপা, ঠোটকাটা, তালুকাটা চিকিৎসা ও অপারেশন করা হয়। বিশেষজ্ঞ সার্জন দ্বারা আধুনিক অপারেশন থিয়েটারে করা হয় প্রয়োজনীয় অপারেশন। জরুরি প্রয়োজনে সুদূর ঢাকা থেকে প্লেনে করে আসেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন