গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় তিস্তা ও ঘাঘট নদীর পানি কমলেও দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাসীদের। গত শুক্রবার থেকে পানি খুব ধীরে ধীরে কমছে। কিন্তু গত দুই সপ্তাহ থেকে পানিবন্দী লোকজন চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। পশুপাখি নিয়ে বাঁধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উচু স্থানে অবস্থান নিলেও আশানুরুপ পানি না কমায় এখনো তারা বাড়িতে ফিরতে পারছেন না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ২০ হাজার ৭’শ পরিবারের ৮২ হাজার ৮’শ জনগণ। এই বিপুল সংখ্যক জনগণের জীবন-যাত্রা মারাত্বকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ঘরের ভিতরে-বাইরে পানি থাকায় ঠিকমত রান্না করতে না পেরে অনেকই না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। গো-খাদ্যের চরম সংকটে দিশেহারা বানভাসীরা। পশু-পাখিগুলো খাদ্য না পেয়ে কঙ্কাল হয়ে পরেছে। বিভিন্ন রোগব্যাধি দেখা দিয়েছে বানভাসীদের মাঝে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নবী সরকার জানান, এ পর্যন্ত সাড়ে ৩ লাখ টাকা, ২১০ মেঃ টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে এবং তা বিতরণও করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সোলেমান আলী জানান, ৮’শ প্যাকেট শুকনো খাবার ও স্থানীয় পর্যায়ে এক হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সোমবার (২২জুলাই) বানভাসীদের মাঝে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে এবং এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি বানভাসীদের মাঝে নিজস্ব অর্থায়নে এমপি শামীম হায়দার পাটোয়ারী, সমাজ সেবক ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা মহসিন সরদার, আনন্দ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিসেস আফরুজা বারী, নিহত এমপি লিটনের স্ত্রী সৈয়দা খুরশিদ জাহান হক স্মৃতি, সৈয়দ মাসুদা খাজাসহ স্থানীয় বিভিন্ন সমাজসেবি সংস্থাগুলো শুকনো খাবার বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন