ঢাকার কেরানীগঞ্জে গণপিটুনিতে নিহত ও আহত যুবকদের পরিচয় চারদিনেও বের করতে পারেনি পুলিশ। তবে থানা পুলিশ তাদের পরিচয় বের করার জন্য কেরানীগঞ্জ ও আশেপাশের থানাসহ ওই এলাকার বিভিন্ন সামাজিক সংঘঠনগুলোর কাছে তাদের দৈহিক ও পরিধানকৃত পোশাকের বিবরন দিয়ে তথ্য প্রেরন করেছে। এদিকে এই ঘটনায় গত শনিবার (২০জুলাই) মধ্যরাতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় অঞ্জাতনামা চারশত মানুষকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এসআই মোঃ চুন্নু মিয়া বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৪৪ এবং ধারা হচ্ছে ৩০২/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৪।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বিপুল চন্দ্র দাস জানান, চারদিন পার হয়ে গেলেও ছেলেধরা সন্দেহে গনপিটুনিতে নিহত ও আহত যুবকদের নাম পরিচয় এখনো আমরা বের করতে পারি নাই। মালঞ্চস্থ উপজেলা কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত যুবকটি এখনো সুস্থ হয়ে না উঠার কারনে সে কোন কথা বলতে পারছে না। তাকে আমরা পুলিশ পাহাড়ায় রেখেছি। তবে বিভিন্ন মাধম্যে নিহত ও আহত ওই যুবকদের নাম পরিচয় জানার জন্য আমরা সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এদিকে যেখানে এই ঘটনাটি ঘটেছে এবং কারা এই গনপিটুনির সাথে জড়িত তাদেরকেও আমরা তদন্ত করে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। আশা করছি আগামী ৪/৫দিনের মধ্যে এই ঘটনার আসল রহস্য উদ্ঘাটন করে যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইন ব্যাবস্থা নিতে পারব। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের
জানান,গনপিটুনিতে নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা এব্যাপারে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব। তবে গুজবে কান দিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়ার জন্য সাধারন মানুষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। তবে এধরনের কোন ঘটনায় সন্দেহে হলে সাথেসাথে থানা পুলিশকে অবহিত করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসারও আহবান জানাচ্ছি। উল্লেখ্য গত শুক্রবার রাতে হযরতপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে জৈনক আমিনুল ইসলামের বাড়ির পূর্ব পাশের একটি রাস্তায় ছেলেধরা সন্দেহে নিহত ও আহত ওই দুই যুবককে এলাকাবাসী ব্যাপক গনপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মামলার বাদী মোঃ চুন্নু মিয়া ঘটনাস্থলে দ্রæত যান। এসময় তিনি হযরতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন আয়নালের উপস্থিতিতে তাদের উদ্ধার করে।পরে চেয়ারম্যানের লোকদের মাধ্যমে সিএনজি অটোরিক্সাযোগে আহত একজনকে মালঞ্চস্থ উপজেলা কমপ্লেক্সে এবং অপর একজনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার দিন সে মারা যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন