কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা বিআরডিবি অফিসের প্রায় ৩০ লাখ টাকার পুরাতন মালামাল চরম দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে মাত্র ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। কাগজপত্র ঠিক রেখে এ গোপন নিলাম ডাকে সরকারের ক্ষতি হয়েছে ২৭ লাখ টাকা।
জানা যায়, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন উপজেলার অবলুপ্ত এমআরডিবি প্রকল্পের গুদামে রক্ষিত পুরাতন মেশিনারিজ, খুচরা যন্ত্রাংশ, এলএলপি ডেলিভারি পাইপ, মোটরসাইকেল, পাওয়ার ট্রিলার, হ্যান্ড ট্রাক্টর, সেলাই মেশিন ও কৃষি যন্ত্রপাতিসহ একশ’ ৬৫ প্রকার মালামাল রয়েছে। এ মালামালের সম্ভাব্য মূল্য তালিকা করার জন্য তিন বছর পূর্বে জেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা জোবেদা বেগমকে সভাপতি করে সাত সদস্যের নিলাম কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. আব্দুল জলিল মিঞা। ওই কমিটি কাগজপত্রে মূল্য তালিকা তৈরি করে ২৫ লাখ টাকার মালামালকে দেখানো হয়েছে মাত্র তিন লাখ ২৮ হাজার টাকা। গত ১০ জুলাই নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলেও তা অফিস ফাইলেই সীমাবদ্ধ থাকে আর জেলার এমন এক পত্রিকায় নিলাম বিজ্ঞপ্তি পকাশ করা হয়েছে যে পত্রিকা দাউদকান্দিতে কখনো আসেনা। অফিসের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজসে স্থানীয় আকাশ এন্টারপ্রাইজ, জাকির এন্টারপ্রাইজ ও নাফিজ এন্টারপ্রাইজ নামে তিনজন ঠিকাদারকে কাগজপত্রে দেখানো হয়। নিলাম কমিটির মূল্য থেকে দুই হাজার টাকা বেশী দিয়ে নাফিজ এন্টারপ্রাইজ চুড়ান্ত নিলামদাতা হয়।
উপজেলা বিআরডিবি চেয়ারম্যান মনির হোসেন সরকার বলেন, এই গোপন নিলামে সরকার প্রায় ২৫ লাখ টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমি এখানকার সভাপতি হয়েও নিলাম বিজ্ঞপ্তি পাইনি আর সাধারণ ঠিকাদার বা ব্যবসায়ীরা জানবে কিভাবে। তিনি উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা কতিপয় ঠিকাদারের সাথে যোগসাজসে ৩০ লাখ টাকার মালামাল ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকায় বিক্রী করেছে।
উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা টিপু সুলতান অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, আমরা নিয়ম মোতাবেক সবকিছু করেছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন