লক্ষ্মীপুর-ভোলা রুটের ৩টি ফেরির মধ্যে যান্ত্রিক ত্রæটির কারণে ২টি ফেরি বিকল থাকায় গত ৫ দিন ধরে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এছাড়া বর্তমানে ফেরি সঙ্কটের কারণে মজুচৌধুরীরহাট ফেরিঘাট এলাকায় শতশত পণ্যবাহী গাড়ি আটকা পড়ে আছে। এতে পরিবহন শ্রমিকরাও আর্থিক ও মানসিক কষ্টে রয়েছে। যাত্রীরাও চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেখা যায় প্রায় তিন কি.মি. দীর্ঘ অপেক্ষমান গাড়ির সারি। দেশের দীর্ঘতম লক্ষীপুর-ভোলা নৌ-রুটটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। এই রুটে কনকচাঁপা, কৃষানী ও কলমিলতা নামের তিনটি ফেরি নিয়মিত চলাচল করে। কিন্তু তিন দুই দিনে পরপর দুইটি ফেরি বিকল হয়ে পড়ায় যানবাহন পারাপারে সৃষ্টি হয়েছে মারাত্মক ভোগান্তি।
পরিবহন চালক ও শ্রমিকরা জানান, গত কয়েকদিন দিন ধরে তারা ঘাটে অপেক্ষা করছেন। কবে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন তা বলতে পারছেন না। তাদের অভিযোগ, দিনে একবার ফেরি চলাচল করে, তাই ঘাটেই বসে থাকতে হয়। ত্রæটিযুক্ত ফেরি দুইটি সচল না হওয়া পর্যন্ত গন্তব্যে পৌঁছানো অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাদের জন্য। চালক মো. হাসেম, আ. রহিমসহ কয়েকজন চালক জানান, লক্ষ্মীপুর-ভোল রুটটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও অবহেলিত, একের পর এক সমস্যা লেগেই আছে। এখানে বাড়তি ফেরি প্রয়োজন। সামনে ঈদ আসছে, খুব দ্রæত ফেরির সমস্যার সমাধান না হলে ভোগান্তির সীমা থাকবে না।
বিআইডাবিøউটিসি সূত্রে জানা যায়, খুব দ্রæত ফেরি সচল হবে, প্রয়োজনে অন্যত্র থেকে ফেরি অনার ব্যবস্থা করা হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে যানজট নিরসন হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন