ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্রিজ নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর অনিয়মের কথা অস্বীকার করে কর্র্তৃপক্ষ বলছেন, আমরা নিয়ম মেনেই ব্রিজের কাজ সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করছি। সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্র জানায়, ২০১৫/১৬ অর্থ বছরে সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে সেতু নির্মাণের জন্য তালিকা প্রেরণ করা হয়। এরমধ্যে সদরের রুহিয়া, আখানগর, আকচা, বালিয়া, আউলিয়পুর, চিলারং, ঢোলারহাট, রায়পুর, জামালপুর, সালন্দর, রাজাগাঁও, জগন্নাথপুর, শুখানপুখুরী, বেগুনবাড়ি, রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নে ১৫ থেকে ৪০ ফুট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকার ২১টি ব্রিজ নির্মাণে অনুমোদন প্রদান করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস এপ্রিল মাসের ২০ তারিখ হতে ঠিকাদারদের মাধ্যমে ব্রিজের কাজ শুরু করেন। কাজের শুরুটা ভাল হলেও মাঝামাঝি সময়ে ব্রিজ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে ব্রিজ নির্মাণে স্থানীয়রা বিভিন্নভাবে অভিযোগ করলেও কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো কাজের সাফাই গাইছেন। অনেক সময় প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা ব্রিজের কাজ চলাকালিন সময়ে কাজের অনিয়মের অভিযোগে স্থানীয়দের কাছে তোপের মুখে পরেন। এর পর থেকে সদর উপজেলা আওলিয়াপুর ইউনিয়নের সিংপাড়া পাকা রাস্তা হতে কচুবাড়ি পাকা রাস্তা সংযোগে সেনপাড়ার পার্শ্বে ও আকচা ইউনিয়নের কামারপাড়া যাওয়ার রাস্তায় খালের উপড় এবং সুখানপুখুরি ইউনিয়নের কালিকাগাঁও হতে পূর্ব শুখানপুখুরি যাওয়ার রাস্তায় গেন্ধার বাড়ির পার্শ্বে সেতু নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। এর ফলে তরিঘড়ি করে ব্রিজ নির্মাণের কাজ শেষ করছেন কর্তৃপক্ষ। ওই তিন ইউনিয়নের স্থানীয় এলাকাবাসি আব্দুল্লাহ, ফজর আলী, চৈতন্য কুমার, সুবাস চন্দ্রসহ কয়েকজন জানান, বালি ক্রয় করে ব্রিজ নির্মাণের কথা থাকলেও ব্রিজের নিচে খাল খনন করে ময়লা বালি উত্তোলন করে ঢালাইয়ের কাজে ব্যবহার করা হয়। ব্যবহার করা হয় অপরিষ্কার ইটের গুটি, আরো ব্যবহার করা হয় পুরাতন রড। এসব অনিয়ম এলাকাবাসির চোখে পড়ার পর কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করলে ঠিকাদার সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার যোগসাজশে তড়িঘড়ি করে কাজ চালিয়ে যান। ফলে ব্রিজ নির্মাণের পর কত দিন টেকশই হবে তা এখন দেখার বিষয়। এছাড়া আর কি বলার আছে। তারপরও যদি মন্ত্রণালয় থেকে ব্রিজ নির্মাণের বিষয়ে তদন্ত করেন তাহলে অবশ্যই নির্মাণ কাজে অনিয়ম পাবেন বলে দাবি স্থানীয়দের। এ বিষয়ে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা (পিআইও) জাহাঙ্গীর আলম জানান, যারা স্বার্থ খোঁজেন তারাই আমাদের লোকের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। ব্রিজ নির্মাণের ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম হয়নি। আগামী ২৮ জুনের মধ্যে ব্রিজের কাজ শেষ করতে হবে বলেই তড়িঘড়ি করা হচ্ছে। অন্য কোন কারণ নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন