শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

চৌদ্দ বছরেও সড়ক না হওয়ায় ব্রিজ পরিত্যক্ত

প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মো. গোলাম ফারুক, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে

দুপচাঁচিয়া উপজেলার বন্দর নগর তালোড়ার পশ্চিমে মাঠের মধ্যে শীশার খাড়ি নামক খালের উপর ফুট ব্রিজ নির্মাণ হবার ১৪ বছর পরেও ব্রিজটির দু’পাশে কোন রাস্তা নির্মাণ হয়নি। ফলে নির্মিত ব্রিজটি জনগণের কোন কাজেই আসছে না। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, উপজেলার তালোড়া পৌরসভার রেল স্টেশনের পশ্চিমে অনতিদূরে তালোড়া-আলতাফনগর পাকা রাস্তার পাশ দিয়ে দক্ষিণে নাগর নদীর দিকে শীশার খাড়ি নামে একটি ছোট্ট খাল প্রবাহিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর বগুড়ার আওতায় ২০০১ সালের দিকে উক্ত খাড়ির উপর ব্রিজটি নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ৩ লাখ ২১ হাজার টাকা ব্যয়ে ২৫ ফুট দৈর্ঘ্য ব্রিজটির নির্মাণের নির্বাচিত ঠিকাদার বগুড়া সদরের ফাঁপোড়ের বানী কন্সট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী আলতাফ হোসেন ২০০২ সালের এপ্রিল মাসে ব্রিজটি নির্মাণ কাজ শেষ করে। তবে ব্রিজটির ওপর দিয়ে খালের এপার-ওপার এলাকার কিছু মানুষ ও এলাকার কৃষক, চাষের জন্য ট্রলি, লাঙ্গল গরু বাছুর সহ নিয়ে যাওয়া আসা করে। স্থানীয় লোকজন জানান, ফুট ব্রিজটি পরিকল্পনা মাফিক সেই সময় নির্মিত হয়নি। স্থানীয় প্রশাসন একক সিদ্ধান্তে ফুট ব্রিজটি নির্মাণ করে। ব্রিজটি নির্মাণের সময় দু’পাশে কোন রাস্তাই ছিল না। দেশে যেখানে একটি ব্রিজের জন্য দিনের পর দিন জনগণকে অপেক্ষা করতে হয়, করতে হয় আন্দোলন। ব্রিজের অভাবে ২ থেকে ৩ মাইল ঘুরে চলাচল করতেও হয়, যেখানে দুর্ভোগের সীমাও থাকে না। সেখানে রাস্তা ছাড়াই ফুট ব্রিজ নির্মাণ করে তা দিনের পর দিন অব্যবহৃতভাবে পড়ে থাকা যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী নুর-এ আলম ছিদ্দিকীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, কোন পরিকল্পনা ছাড়াই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ফলে ব্রিজটির জনগণের কোন কাজেই আসছে না। তিনি আরো জানান, ব্রিজটি তালোড়া পৌরসভার আওতাভুক্ত। পৌর কর্তৃপক্ষ এলাকার সুবিধার্থে ব্রিজের দু’ধারে রাস্তা করে দিতে পারে। যা পৌরসভারই দায়িত্ব। এক্ষেত্রে তাদের কিছু করার নেই বলেও তিনি জানান। এ ব্যাপারে তালোড়া পৌরসভার মেয়র খন্দকার আব্দুল জলিল জানান, ব্রিজটির দু’ধারে জমির মালিকেরা মাটি কাটতে বাঁধা দেয়ায় মাটি দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। অন্যের জমিতে জোর করে মাটি কাটাও সম্ভব নয়। ফলে ব্রিজটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ দিকে এলাকাবাসী ব্রিজটির দু’পাশে রাস্তা নির্মাণ করে জনগণ যাতে যাতায়াতের স্বাচ্ছন্দ্য সুবিধা ভোগ করতে পারে সে দিকে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন