ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) উপজেলা সংবাদদাতা
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার শালিমপুর গ্রামের একই জমিতে ৬০ বছরের অধিককাল ধরে বসবাস করছেন মোসলেম উদ্দীন। ওই জমির সামনের অংশের মালিকানা দাবি করেছে এক ভূমিদস্যু। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র আদালতে ভূমিদস্যুর করা আবেদন মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এরপরও ওই জমির ওপর থেকে লোলুপ দৃষ্টি যাচ্ছে না ওই ভূমিদস্যু গংদের। তারা এখন ধারাবাহিক অত্যাচার নির্যাতন করে ওই জমির মালিককে তাড়িয়ে দিয়ে জমি দখলের পাঁয়তারা করছে। নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে জমির মালিক কুষ্টিয়ার বিজ্ঞ আদালতে ১৪৪ ধারা চেয়ে মামলা করলে আদালত ১৪৪ ধারা জারি করেন। কিন্তু ভূমিদস্যুরা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেই এখনো দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখে অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। জানা গেছে, মসলেম উদ্দীনের পিতার নামে আর এস রেকর্ড এর ২২৮নং খতিয়ানের ১৯১ দাগের ১.৪৮ শতক জমির মধ্যে পয়েন্ট ৭৪ শতক জমির রেকর্ড রয়েছে। এরপর ২০০১ সালে ভূমিদস্যুদের পূর্বাধিকারী ছৈরুদ্দীনের কাছ থেকে আরো ৪ শতক জমি ক্রয় করেন মোসলেম উদ্দীন এবং আরো সোয়া ৩ শতক জমি একর করে মোট ৮১ শতক জমির মালিক মোসলেম উদ্দীন গংরা। এরপর থেকেই বসবাস করে পাকা বাড়ি সহ অনান্য স্থাপনাও নির্মাণ করেন তিনি। নানা গাছপালা এবং ফলদ বৃক্ষও তিনি রোপণ করেন। এই জমির দিকে এখন কু-দৃষ্টি পড়ে ভূমিদস্যু তাহের উদ্দীন গং, মফিদুল ইসলাম, তফিকুল ইসলাম, ছহিরুদ্দীনের পুত্র আসাদুল ও সাইদুল ইসলামের। জমির মালিক মোসলেম উদ্দীন জানিয়েছেন, ভূমিদস্যুরা একে অপরের সাথে সংঘবদ্ধ হয়ে আমার জমির সামনের অংশ দখল নিতে চায়। তারা আমাকে হুমকি দিয়ে বলে, আমার পিতা যতই জমি বিক্রি করুক না কেন তা আমরা মানিনা। বসতবাড়িসহ অনান্য পাকা স্থাপনাও আমরা দখল করে নেব। ভূমিদস্যুরা হুমকি দেয়ার পর থেকেই আমার বাড়ির সামনে এসে গরু-ছাগল বেঁধে রাখা, গাছ থেকে নারিকেল এবং কাঁঠাল পাড়তে বাধা দেওয়াসহ প্রতিনিয়ত অকথ্য ভাষায় গালাগালিজ করছে। সরেজমিন দেখা গেছে, মোসলেম উদ্দীনের জমির সীমানার মধ্যে অনধিকার প্রবেশ করে ভূমিদস্যু আসাদুল তার ২টি গরু ঘরের সামনে এবং পেছনে বেঁধে রেখেছে। অন্যদিকে অনেক প্রাচীন ইন্দারার গায়েও বাংলায় লেখা রয়েছে মোসলেম উদ্দীনের পিতার নাম মুনতাজ আলী এবং সাল ১৩৮১ বাংলা। স্থানীয়রা জানিয়েছে, ভূমিদুস্যু আসাদুল গংরা এখন সংঘবদ্ধ। তাদের সামনে এতটুকু প্রতিবাদ করলেই বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে তারা। যে কারনে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পরিবারটি। এদিকে একপ্রকার বাধ্য হয়েই ভূমিদস্যুদের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা দায়ের করেন মোসলেম উদ্দীন। এরপর বিজ্ঞ আদালত ২৯ মে ১৪৪ ধারা জারি করে। কিন্তু ভূমিদস্যুরা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে বসতবাড়িসহ জমি দখলের চেষ্টা করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন