আমতলীতে অসহায় এক নিঃসন্তান বিধবাকে উৎখাত করার জন্য দেবর পুত্ররা নির্দয় ষড়যন্ত্র চালিয়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে বিক্রিসহ বসতঘর লুটপাট করে নিয়েছে।
জানা যায়, আমতলী উপজেলার চন্দ্রা গ্রামের সাবেক মেম্বার নিঃসন্তান মৃত দলিলদ্দিন খার স্ত্রী বিধবা সালেহা খাতুন (৭০) বার্ধক্যজনিত রোগে অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১ মে চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী যান। সেখানে তিনি এক নাতনীর বাসায় অবস্থান করে ডা. মশিউর রহমানের চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এখনো পর্যন্ত তিনি পটুয়াখালী আছেন। তার এই অনুপস্থিতি এবং বর্ষাকালীন একটানা তুমুল বর্ষণের সুযোগে তাকে বাড়ি থেকে উৎখাত করার জন্য গত ৬ জুলাই থেকে তার দেবর পুত্ররা নির্মম ষড়যন্ত্র চালিয়ে ধীরে-সুস্থে ৩ লক্ষাধিক টাকার মূল্যবান গাছ কেটে বিক্রি এবং তার বসতঘর লুটপাট করে। অসুস্থ সালেহা এখনো পর্যন্ত জানেন না তার কী সর্বনাশ হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ভাইপো মুনশি আনোয়ারই বিধবা সালেহা খাতুনকে তত্ত¡াবধানের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু ঘটনা চলাকালীন সময়ে তিনি তার অসুস্থ মেয়ের কাছে রংপুরে থাকায় লুটপাটের বিষয়টি তিনিও জানতে পারেননি।
আরো উল্লেখ্য যে, দেবর-পুত্র মিজান, মোস্তাফিজ, খোকন, ফজলুরা বিধবা সালেহার প্রাপ্য জমাজমির আইল-সীমানা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করলে ২০১১ সালে সালেহা বাধ্য হয়ে তাদেরকে বিবাদী করে আমতলী সহকারী জজ আদালত, বরগুনায় একটি বাটোয়ারা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৩৩/১১। কিন্তু তিনি বৃদ্ধ হওয়ায় নোটারি করে মামলা পরিচালনার ভার তার ভাইপো মুনশি আনোয়ারের ওপর অর্পণ করেন। মামলাটি চলমান রয়েছে।
স্থানীয় মহিলা মেম্বার বিউটি বেগম জানান, প্রায় মাসখানেক পূর্বে মিজান, মোস্তাফিজ, খোকন, ফজলু এরা তালগাছ, নারকেল গাছ, রেইনট্রি, মেহগনিসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক বিভিন্œ জাতের মূল্যবান গাছ বশির নামক এক পাইকারের কাছে বিক্রি করে এবং ঘরের মালামাল তারা এক এক করে লুটপাট করে নিয়ে যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন