লক্ষীপুর-ভোলা নৌরুটে স্বাভাবিক হচ্ছে ফেরি চলাচলা। কমতে শুরু করেছে যানবাহনের দীর্ঘলাইন। লক্ষীপুর-ভোলা রুটের ৩টি ফেরির মধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে ২টি ফেরি বিকল থাকায় উভয় পাড়ে পরিবহনের দীর্ঘ জটের সৃষ্টি হয়েছে। একটিমাত্র সচল ফেরি দিয়ে কিছুটা যানবাহন পারাপার হলেও উভয় পাড়ে পরিবহনের দীর্ঘ জটের সৃষ্টি ও দুর্ভোগ কমাতে কর্তৃপক্ষ গত বুধবার চাঁদপুর থেকে কস্তুরি নামক আরো একটি ফেরি লক্ষীপুর-ভোলা নৌরুটে যুক্ত করে। যান্ত্রিক ত্রæটির কারণে বিকল হওয়া ২টি ফেরি সচল হলে গত শনিবার রাত থেকে ৪টি ফেরি চলাচল শুরু করে।
দেশের দীর্ঘতম লক্ষীপুর-ভোলা নৌ-রুটটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। এই রুটে কনকচাঁপা, কৃষানী ও কলমিলতা নামের তিনটি ফেরি নিয়মিত চলাচল করে। কিন্তু বেশ কয়েকদিন দুইটি ফেরি বিকল হয়ে পড়ায় যানবাহন পারাপারে মারাত্মক ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল রোববার সরেজমিনে ঘাটে গেলে স্থানীয় জাহাঙ্গীর আলম, হুমায়ন কবিরসহ আরো অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ল²ীপুর-ভোল নৌ রুটটি অতি গুরুত্বপূর্ণ হলেও অত্যন্ত অবহেলিত, ঘাটের সমস্যা, নদীতে নাব্যতা, ফেরির সমস্যাসহ একের পর এক সমস্যা লেগেই আছে।
ভোলাগামী ট্রাকচালক এমদাদ উল্যাহ জানান, তিনি চট্টগ্রাম থেকে পণ্য নিয়ে ভোলার উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন। গত ২দিন ধরে তিনি ঘাটে সিরিয়াল পাচ্ছেনা না।
ট্রাকচালক ইদ্রিস মিয়াসহ কয়েকজন পরিবহন চালক ও শ্রমিক জানান, গত কয়েকদিন দিন ধরে তারা ঘাটে অপেক্ষা করছেন। এখন ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে, দ্রæত সিরিয়াল না পেলে ট্রাকের মালামল নষ্ট হয়ে যাবে।
বিআইডাবিøউটিসি মজু চৌধুরীরহাট ফেরিঘাটের সহকারী প্রকৌশলী আবদুল মালেক জানান, ফেরির ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় ২ ফেরি বন্ধ ছিল। এখন মেরামত করা হয়েছে, আশাকরি দুর্ভোগ থাকবে না।
বিআইডাবিøউটিসি মজুচৌধুরীরহাট ফেরিঘাটের সহকারি পরিচালক মো. কাউছার যানবাহন ও দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে জানান, এ বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর কর্তৃপক্ষ দ্রæত চাঁদপুর থেকে একটি ফেরি আনার ব্যবস্থা করেছেন। বর্তমানে সবগুলি ফেরি চলাচলা শুরু হয়েছে। আগামী ১/২ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা করি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন