ডাকাতের অবস্থান জানতে এবার ড্রোন ব্যবহার করলো এলিট বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব। গতকাল রোববার ড্রোনে লাগানো ক্যামেরায় শীর্ষ ডাকাত জাকেরের অবস্থান নিশ্চিত করার পর তাকে ধরতে অভিযানে গেলে সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। র্যাব-৭ চট্টগ্রামের কর্মকর্তারা জানান, বাঁশখালীর চাম্বল এলাকায় গুলি বিনিময়ের পর সেখানে মো. জাকেরের (৪০) গুলিবিদ্ধ লাশসহ ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গুলি পাওয়া যায়।
র্যাব জানায়, বিকেল ৫টায় চাম্বল এলাকার ছড়ারক‚লে তার অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এ সময় সে তার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। র্যাব তাকে ধরতে অভিযান শুরু করলে তার সহযোগীরা গুলি ছুঁড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। দুই পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে ডাকাতরা পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে জাকেরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। জাকেরকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
বাঁশখালী থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার ইনকিলাবকে বলেন, মো. জাকের হোসেন ডাকাত দলের গ্রæপ লিডার এবং থানায় তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে থানায় ২৪টি মামলা রয়েছে। জাকের ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে সমুদ্র এবং উপক‚লীয় এলাকায় ডাকাতি করে আসছিল।
এ নিয়ে চলতি বছরে বাঁশখালীতে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে পাঁচ ডাকাত নৌদস্যু মারা গেল। এর আগে গত ২১ জুন বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নে র্যাবের সাথে এক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ডাকাত দলের প্রধান জাফর মেম্বার ও তার ভাই খলিল আহম্মদ গুলিবিদ্ধ হয়ে যান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন