সউদি আরবে গাড়ি চাপায় নিহত সুমন মিয়ার (৩০) বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। গত সোমবার বিকেলে সৌদি আরবের জেদ্দায় গাড়ি চাপায় তিনি নিহত হন। সুমন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের ঘাগড়া পশ্চিমপাড়া নদীরপাড় এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত আট মাস আগে সুমন মেসার্স খান ওভারসীজ আর, এল-৯১৫ এজেন্সীর মাধমে আসনাদ আল ওয়াহা কনট্রাকটিং কোম্পানীর অধীনে সৌদিআরবে যান। তার পাসপোর্ট নম্বর-বিডবিøউ০০৩৪৪০১। ভিসা নম্বর-৬০৫৩৩৭৫৬৯৮। সৌদিআরব যাওয়ার পর আট মাস পার হয়ে গেলেও কোম্পানি সুমনকে কোন কাজ দেয়নি। বাধ্যহয়ে তিনি গত শনিবার সিজার সার্ভিস নামের একটি কোম্পানিতে বলদিয়ার (পরিচ্ছন্নকর্মী) কাজে যোগদান করেন। গত সোমবার বিকেলে কোম্পানির একটি গাড়িতে করে ময়লা নিয়ে জেদ্দার একটি মরুভূমিতে ফেলতে যান। সেখানে ময়লা ফেলার সময় অসাবধানতাবশত গাড়ির ঢাকনার নিচে চাপা পড়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। সুমনের এক বন্ধুর মাধ্যমে এ খবরটি গত সোমবার রাতে এসে পৌঁছলে তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। প্রিয়া (৮), তমা(৪) ও নাজিফা (১.৫) নামে সুমনের তিন কন্যাসন্তান রয়েছে।
সুমনের স্ত্রী শান্তা বিলাপ করে কাঁদতে কাঁদতে বলেন গত রোববার বিকালে মুঠোফোনে তার সাথে আমার শেষ কথা হয়। তিন সন্তানকে নিয়ে এখন আমি কিভাবে বাঁচবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন