কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জলোচ্ছ্বাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে গ্রামবাসীরা স্বেচ্ছায় বাঁধ নির্মাণে নেমেছে। উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ওমেদপুর গ্রামে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে সোনাতলা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের চাপে স্লুইস গেটের উপর মাটি ক্ষয়ের কারণে বেড়িবাঁধটি বিলীন হয়ে যায়। এর ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা। প্রতিদিন দুই দফা জোয়ারের লবণ পানি প্রবেশ করে কৃষকদের ক্ষেত তলিয়ে যায়। এদিক পরবর্তী কোন দুর্যোগ এড়াতে গ্রামবাসীরা স্বেচ্ছায় বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। ইতোমধ্যে বাঁধ নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে বলে ওখানকার লোকজনদের কাছ থেকে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারের চাপে স্লুইস গেটের উপর থেকে মাটি ক্ষয়ের কারণে বেড়িবাঁধটি প্রায় ৬০-৭০ ফুট বিলীন হয়ে যায়। এর ফলে উপজেলা শহর কিংবা ইউনিয়নে হাট-বাজারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এছাড়া প্রতিদিন বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে লবণ পানি প্রবেশ করে কৃষি বান্ধব ওইসব এলাকার মানুষের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। গ্রামবাসীরা কোন উপায় না পেয়ে গত তিন দিন ধরে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করে বলে জানা গেছে। ওয়ার্ন্ড কানসার্ন বাংলাদেশ দুর্যোগ কমিটির ওয়ার্ড সভাপতি আলমগীর তালুকদার জানান, আগেও বাঁধটি একেবারে নাজুক ছিল। রোয়ানুর প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারের চাপে বাঁধটি ভেঙে যাওয়ার পর ফসলী জমিসহ বিভিন্ন পুকুর ও বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে যায়। বিষয়টি ইনিয়ন পরিষদসহ উপজেলা পরিষদকে জানানো হয়েছে। বর্তমানে কোন বরাদ্দ না থাকায় গ্রামবাসীরা মিলে একটি সভা করি। ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে এ বাঁধটি নির্মাণে উদ্যোগ নেয়া হয়। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডভোকেট মো. নাসির মাহমুদ জানান, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে বাঁধটি ভেঙে যায়। এ বিষয়টি উপজেলা পরিষদসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। এদিকে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড কনসার্ন বাংলাদেশের উপজেলার সমন্বয়কারী জেমস রাজীব বিশ^াস সরেজমিনে বিষয়টি পরিদর্শন করে স্বেচ্ছায় এই মহৎ কাজের জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন