লক্ষীপুরের কমলনগরে এক গৃহবধূকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠেছে আবদুল খালেক নামে ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা চরকালকিনি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে এঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। নির্যাতিত গৃহবধূ নুরজাহান বেগম জানান, বিগত ২৫ বছর আগে তার মামাতো ভাই আলাউদ্দিন থেকে ৫ শতক বসতভিটির জমি ক্রয় করেন তিনি। ক্রয়ের পর থেকে অদ্যবধি ৪ শতক জমি তার ভাসুর আবদুল খালেক মেম্বার জবর দখল করে রাখে। তাকে রেজিস্ট্রি না দেয়ার জন্য জমির মালিক আলাউদ্দিনকে একের পর এক হুমকি দিচ্ছেন মেম্বার। ক্ষমতার দাপট ও হুমকি দিয়ে মেম্বার ও তার পরিবারের লোকজন প্রায় ৫০ হাজার টাকা গাছ-পালা কেটে ফেলে। এসময় তিনি বাধা দিলে তাকে শ্লীতাহানিসহ বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয় বলেও জানান নির্যাতিত ওই গৃহবধূ।
এব্যাপারে ইউপি মেম্বার আবদুল খালেক জানান, আমার ভাইয়ের স্ত্রী নুরজাহানের মুখের ভাষা খারাপ। আমি লাঠি নিয়ে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়েছি।
কমলনগর থানা ওসি ইকবাল হোসেন জানান, থানায় কেউ অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন