মাগুরা শহরের শোভা বৃদ্ধির পাশাপাশি জনমানুষের নানান সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষে নেয়া মহাসড়কের মাগুরা পল্লী বিদ্যুত অফিস থেকে আবালপুর পর্যন্ত চার লেনে উন্নীককরণ ও নবগঙ্গা নদীর ১১ কিলোমিটার পূনঃখননের প্রকল্প কাজের মান ও ধীরগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সংসদ সদস্য এড. সাইফুজ্জামান শিখর। তিনি এলাকবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাজের মান ঠিক রাখার জন্য বলেছেন বলে জানান। সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর বলেন, এ প্রকল্প দুটি অনুমোদন করতে দীর্ঘদিন চেষ্টা করতে হয়েছে। জনগনের সুবিধা বিবেচনা করে ৪৪ কোটি টাকায় নবগঙ্গা নদীর ১১ কিলোমিটার নদী পূনঃখনন ও ৯৬ কোটি টাকা বরাদ্বে মহাসড়কের ৪লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প গ্রহন করা হয়। নবগঙ্গা নদী পূনঃখননে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ব্যাপক অনিয়ম ও অবহেলা করছে। যে কারনে যথাসময়ে কাজ সম্পন্ন হয়নি। তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বারবার তাগাদা দিয়েছেন। তাতেও কাজ হয়নি বলে উল্লেখ করেন। সংসদ সদস্য মাগুরা শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও ঢাকা রোডসহ সড়কে যানজট নিরশনের লক্ষে চার লেনে সড়ক উন্নীতকরণের কাজের মান নিয়ে ও প্রশ্ন তোলেন।
তিনি চার লেন সড়কের রোড ডিভাইডার এ মাটির বদলে বালী দেয়ার অভিযোগ করে অবিলম্বে বালী অপসারণ করে মাটি দিয়ে গাছ লাগানোর উপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বলেছেন। তিনি মাগুরা মহম্মাদপুর সড়কের বর্তমান অবস্থা দেখে বিস্মিত হন। তিনি বলেন, গত ২০১৩-১৪ অর্থ বছওে অনেক চেষ্টা করে এ সড়কের উন্নয়নে ৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ আনতে চেষ্টা করেন। এ সময় ৩২ কোটি টাকায় সড়টির উন্নয়ন করা হয়।মাত্র কয়েক বছর পর আবার সে সড়কের উন্নয়নে কাজ করতে হচ্ছে।তিনি বলেন, মাগুরায় বড় কোন প্রকল্প এলে ঠিকাদাররা ঠিকমত কাজ করেননা। মাগুরা প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে ও জেলা আ. লীগ কার্যালয়ে উন্নয়ন কাজের মান নিয়ে এলাকার মানুষ অভিযোগ কতরলে তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। উন্নয়ন কাজের মান ভাল করার জন্য সংশ্লিষ্ঠ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দৃষ্টি রাকার আহবান জানান। নিম্নমানের কাজ হওয়ায় সরকারী অর্থের অপচয় ও জনগনের ভোগান্তি হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন