দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা শস্য ভান্ডার হিসাবে খ্যাত। বিরামপুরে চলছে রোপা আমন লাগানোর কাজ। ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা। কিন্তু বর্তমান কৃষকের ঘরে ধান মজুদ নেই, ধার দেনা মিটাতে বোরো ধান কৃষকের ঘর থেকে উধাও হয়েছে। গেল বোরো মৌসুমে ধানের উপযুক্ত দাম না পেয়ে ঋণ করে বোরো ধানের খরচ পরিশোধ করে এখন কৃষকের পকেট ফাঁকা। তার পরেও নিত্য প্রযোজনীয় জিনিসপত্রের দাম যেভাবে দিন দিন হু হু করে বাড়ছে, ফসলের উপর নির্ভেরশীল কৃষকেরা নিদারুন কষ্টে পড়েছে। বেতন বোনাস হীন কৃষকের ঘরে আনন্দ নেই। পরিবারের মুখে হাসি নেই! হাসি যেন ফসলের খরচ খেয়ে ফেলেছে।
জানা যায়, এবার এক সাথে কৃষকের দুটি মৌসুম চলছে, আমন ধান রোপন মৌসুম, অন্যটি পবিত্র ঈদুল আজহা। গ্রামের মধ্যবৃত্ত ও ফসলের উপর নির্ভরশীল কৃষকদের এখন দূরদিন চলছে। ধার-দেনা জমি বন্ধক রেখে চাষ ফোড়ের টাকা যোগাতে তাদের হিমশিম পোহাতে হচ্ছে। তার পরেও কুরবানির প্রস্তুতি, গরু ছাগল এর দাম চড়া, সাধ থাকলে সাধ্যে জুটবেনা, কুরবানি অনেকের ভাগ্যে জুটবেনা বলেও গ্রামগঞ্জে ঘুরে অনেক কৃষক পরিবার কাছ থেকে জানা যায়, মধ্যবৃত্ত কৃষকদের পরিবারে এখন নিরব দুর্ভিক্ষ চলছে। তাদের মুখে হাসি নেই ! আমন ধান লাগতে এবং কুরবানি পশু কিনতে ধার দেনার ধকলে পড়তে হচ্ছে তাদের।
বিরামপুর উপজেলার বিনাঈল ইউপির খিয়ার তেঘরিয়া গ্রামের কৃষক জহুরুল ইসলাম সদ্দার জানান, ২৫ বিঘা নিজের জমিতে ধান চাষ করি। সার বছর ধান দিয়ে পরিবারের সকল সমস্যা মিঠাতে হয়, ২/৩ বছর ধরে ধানের দাম কমের কারনে ঘরে ধান মজুদ থাকে না। এবার দুটি মৌসুম এক সাথে হওয়ায় ফসলের উপর নির্ভেরশীল কৃষক তিনি নিদারুন কষ্ট পড়েছেন। আমন ধান লাগতে এবং কুরবানি পশু কিনতে ধার দেনার ধকলে পড়তে হয়েছে। আবাদে লসেরপাল্লা বাড়ছে এ কারনে ধার-দেনা, জমি বন্ধক রেখে সংসার চলতে হচ্ছে। লেবার, সার ও কিটনাশকের যে দাম ধান বিক্রী করে তা পরিশোধ করা দূরহ হয়ে পড়েছে বলেও তিনি জানান।
এ দিকে বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিকছন চন্দ্র পাল জানান, এ উপজেলায় এবার ৩৫ হাজার কৃষক ১৭ হাজার ৫ শ’ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন