ইশতিয়াক আহমেদ
প্রতিদিনই যৌতুকের শিকার হচ্ছে কত নারী। কাউকে মারা হচ্ছে, কেউ কেউ নিজেরাই মরছে, কাউকে দেওয়া হচ্ছে মৃত্যুর চেয়েও ভয়ঙ্কর কষ্ট, কারো শরীর জ্বলসে দেওয়া হচ্ছে আবার কাউকে কাউকে অমানুষিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে শুধুই যৌতুকের জন্য।
যৌতুক একটি ভয়ঙ্কর সামাজিক ব্যাধি। জটিল একটা ভাইরাস এটা। কিন্তু আমরা পারছি না এটাকে প্রতিহত করতে। আমরা স্বচক্ষে সবকিছু দেখেও কিছুই করতে পারছি না। পারছি না এই ভাইরাসটাকে চিরতরে শেষ করতে। উল্টো দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এটা। আজকাল শিক্ষিত মানুষগুলোও জড়িয়ে পড়ছে একই অপকর্মে।
আমরা বুঝি, এটা মারাত্মক ক্ষতিকর তবুও করছি এটা। আমরাই জড়িয়ে যাচ্ছি। যেকোনো মূল্যে এ প্রবণতাকে প্রতিহত করা অবশ্যই প্রয়োজন আমাদের। এটা আমাদের জন্য অত্যাবশ্যক। অতিব জরুরি এ অপকর্মকে নির্মূল করা। এর সাথে মিশে আছে আমাদের মনুষ্যত্ব, আমাদের বিবেক। এর সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের নীতি-নৈতিকতা। এর সাথে জড়িত আমাদের আদর্শ, আমাদের আত্মসম্মান।
আমরা শিক্ষিত হচ্ছি ঠিকই কিন্তু আমাদের বিবেক সেই পিছনেই রয়ে গেছে। আমাদের মাঝে শিক্ষাদীক্ষার হার বাড়ছে কিন্তু আমাদের মনুষ্যত্ব পড়ে আছে সেই মূর্খতার গহ্বরে। আমাদের বিবেককে জাগাতে হবে। আমাদের মনুষ্যত্বকে বাঁচাতে হবে। তবেই আমরা উন্নত একটা জাতির মানুষ হতে পারবো।
চলুন না! আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে যৌতুককে প্রতিহত করি। আমরা নিজেরাই যদি সোচ্চার হই তাহলে দেখবেন, সমাজ অতি শিগগির এই যৌতুক নামক কলঙ্ক থেকে মুক্তি পাবে। তখন আর কোনো নারীকে এই ভাইরাসের শিকার হতে হবে না।
আমরা একেক জন জাগ্রত হলেই সমাজ হবে এই ভয়ঙ্কর ভাইরাসমুক্ত।
ষ লেখক : ব্লগার, অনলাইন এক্টিভিস্ট
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন