পদ্মা সেতু, আড়িয়াল খাঁ সড়ক ও রেলসেতু, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষায় বড় ধরনের নদী শাসন প্রকল্প হাতে নেয়া হবে। ‘ভাঙন থেকে সেত মহাসড়কসহ জনপদ রক্ষায় শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া বলে। গতকাল ভাঙন কবলিতদের দাবির প্রেক্ষিতে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এছাড়া ছাড়াও বৃহত্তর ফরিদপুরকে ঘিরে বড় প্রকল্প হাতে নেয়ার ঘোষণাও দেন তারা।
সকাল থেকে দিনব্যাপী দূর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম ও ত্রাণ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম, ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবর রহমান চৌধুরীসহ উভয় মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা। পরিদর্শনকালে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, চীফ হুইপ লিটন চৌধুরী দাবি করেছেন পদ্মা নদীতে বাঁধ দেয়ার জন্য। আমরা কাজ শুরু করবো।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী ভাঙা ও বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। ভাঙন প্রতিরোধে একদিকে তিনি নদী শাসন করেন আরেকদিকে তিনি নদীতে ড্রেজিং করেন। পদ্মা নদী এমনভাবে ভাঙছে এতে পদ্মা সেতু, মহাসড়কসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ঝূকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। আমরা তাই বৃহৎত্তর ফরিদপুরকে ঘিরেই বড় ধরনের প্রকল্প হাতে নেব। আমরা শিবচরকেও আর ভাঙতে দেব না। আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙন প্রতিরোধে ৩শ’ ৬০ কোটি টাকার কাজ ডিসেম্বরেই শুরু করবো।
চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, পদ্মা ও আড়িয়াল খায় আমার বড় স্কুল মাদ্রাসা ঘর বাড়ি রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। এত বড় নদী ভাঙন প্রতিরোধে ব্যাপক পরিকল্পনা দরকার। ত্রাণ আমাদের সমস্যা না নদী শাসন বাঁধ প্রয়োজন। এসকল কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল, মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন মোল্লা, সিনিয়র সহসভাপতি মুনির চৌধুরী প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন