কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু নির্ণয়ে নেই কোন যন্ত্র ও ডাক্তার। চিকিৎসা সেবা চলছে জোড়াতালি দিয়ে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে প্রতিদিন ডেঙ্গু রোগির সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি অনেক রোগী এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করছেন। এ রোগে দেশের প্রতি জেলা ও উপজেলায় মানুষজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কিন্তু রাঙামাটি জেলা তথা কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ডাক্তার বিহীন চিকিৎসা সেবা চলছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়ত ডাক্তারগণ নিজ কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও একজন ডাক্তার ছাড়া কোন চিকিৎসককে গত ৪ আগস্ট হাসপাতালে দেখা যায়নি।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাসুদ আহমেদ চৌধুরী ট্রেনিং-এ চীন সফরে রয়েছেন।
সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে ডা. ফারুকে পাওয়া যায়। তার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডেঙ্গু নির্ণয়ে আমাদের কোন যন্ত্র নেই। সরকারিভাবে কোন নির্ণয়কারী যন্ত্র দেয়া হয়নি। চিকিৎসক একজন গিয়েছে রাঙামাটি এবং উপজেলা প.প. কর্মকর্তা সাতদিনের ট্রেনিংয়ে রয়েছেন।
এদিকে হাসপাতালের স্টাফ বা উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মো. ইলিয়াছ বলেন, আমাদের চিকিৎসা সেবা আছে তবে সরকারিভাবে ডেঙ্গু নির্ণয় করার কোন যন্ত্র নেই। ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী হাসপাতালের এ অবস্থা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে। এবং নিয়মিত চিকিৎসক না থাকায় বিষয়টি আইনশৃঙ্কলা সভায় উপস্থাপন করার কথা জানান। হাসপাতালে স্টাফ ও ডাক্তারদের জানান, অন্য কোন জায়গা থেকে হলেও বেসরকারিভাবে ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়কারী যন্ত্র সংগ্রহ করে আনুন টাকা যা লাগে আমি দিব। না হয় যে কোন সময় যে কারও এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা জেতে পারে।
ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হককে জানালেও তিনি ও চরমক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ডাক্তার নিজ কর্মস্থলে না থেকে বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত আছেন। বর্তমান পরিস্থিতে চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি এবং অবহেলার ব্যাপারে আগামি মাসিক সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করার কথা জানান এ প্রতিনিধিকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন