শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

ফুলপুরে দর্জিবাড়িতে নির্ঘুম রাত

মো. খলিলুর রহমান, ফুলপুর (ময়মনসিংহ) থেকে | প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০২ এএম

মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে নতুন জামা-কাপড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার দর্জিরা। দর্জি দোকানের কারিগরদের কাটছে নির্ঘুম রাত। তবে অন্যান্য বারের চেয়ে এবার কাজ একটু কম বলে অনেকেই জানান।
যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় জেলা শহরের সাথে পাল্লা দিয়ে ফুলপুর উপজেলা সদরে বেশ কিছু নামি-দামি টেইলার্স প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফুলপুর উপজেলা সদরে দি জুয়েল টেইলার্স, হাবিব টেইলার্স, জহির টেইলার্স, রতন টেইলার্স, তরী টেইলার্স, রুহুল টেইলার্স, রাজধানী টেইলার্স ও সেলাই ঘরসহ প্রায় শতাধিক টেইলার্স গড়ে উঠেছে। অনেক আগে থেকেই উপজেলার টেইলার্সগুলোতে ছেলেদের শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, পায়জামা আর মেয়েদের থ্রি-পিস, কামিজ, পায়জামা, পেটিকোট, বোরকা তৈরির অর্ডার আসতে থাকে। ঈদ আসার সাথে সাথে টেইলার্স দোকানগুলোতে অর্ডারের চাপও বাড়ে। এবার টেইলার্স মালিক ও কারিগররা সেলাই মুজুরি বৃদ্ধি করেছে।
এ ব্যাপারে কয়েকজন টেইলার্স মালিকের সাথে কথা হলে তারা জানান, কারিগরদের (দর্জি) মুজুরি, দোকান ভাড়া, সুতার দাম বৃদ্ধিসহ বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়ায় মুজুরি কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, টেইলার্সের কাটিং মাস্টাররা গলায় ফিতা ঝুলিয়ে কাচি হাতে কাপড় কাটছেতো কাটছেই। যেন দম ফেলারও সময় নেই। আর কারখানাতে কারিগররা পোশাক সেলাইয়ে মহাব্যস্ত। কারিগররা সকাল থেকে কাপড় সেলাই শুরু করে তা গভীর রাত পর্যন্ত চলে। তাদের মেশিনের খটঁখটঁ শব্দে এলাকা মুখরিত থাকে। টেইলার্সের কয়েকজন মালিক ও কারিগর জানান, সারা বছর কম কাজ হয়। ঈদের সময় বেশি কাজ হয়। অনেক কারিগর ঈদের সময়ের জন্য অপেক্ষায় থাকে। আর কিছু টাকা বেশি আয় করতেই একটু বেশি পরিশ্রম করছেন। যত পরিশ্রম করবে তত বেশি আয় হবে এ আশায় অনেক কারিগর নির্ঘুম রাতও পার করছেন।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন