পবিত্র কুরবানিরর ঈদকে সামনে রেখে হাটহাজারীতে জমে উঠেছে পশুর হাট। তবে গরু ছাগল বেপারিদের পাশা-পাশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে দা-ছুরি তৈরির কামাররাও। তাদের বর্তমানে দম ফেলার সময় নেই। যেখানে সেখানে পশুর হাট বসানোর ফলে ইজারা কৃত বাজারে উঠছেনা গরু ছাগল। এতে করে ব্যপক লোকশানের মুখে পড়েছে সরকার ও বাজার ইজারাদাররা এছাড়া রোগআক্রান্ত গরু ছাগলে পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার তদারকি নেই। প্রতি বছরের ন্যায়ে সারাদেশের মত হাটহাজারীতেও বিভিন্ন সম্ভাব্য সমস্যাই উদ্বিগ্ন গরু ছাগল ক্রেতা বিক্রতারা।
হাটহাজারীতে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে পশু এনে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে গরু ছাগল এনে লালন পালন করছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সড়ক-মহাসড়ক ঘেষে বাঁশ তেলপাড় দিয়ে অস্থায়ী ভাবে গোয়াল ঘর তৈরি করে পশু সাজিয়ে রেখেছে। উপজেলার বিভিন্ন বাজারের মধ্যে নাজিরহাট বাজার, ফরহাদাবাদ বাজার, কাটিরহাট বাজার, সরকারহাট বাজার, মগ্যা হাট, মহুরীহাট, চারিয়া বুড়ি পুকুর, চারিয়া নয়াহাট, চারিয়া বোর্ড স্কুল, মীরেরহ হাট, হাটহাজারী সদরের রেল স্টেশনের আশপাশ, ইছাপুর বাজার, মদন হাট, মার্দাশা, শিকরপুর, বুড়িশ্চর, মদুনাঘাট, আমান বাজার, ফতেয়াবাদ, চৌধুরী হাটসহ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে গুরু ছাগল বিকিকিনি হয়ে থাকলেও দেশের দূর দূররান্ত থেকে আনা গরু গুলো রোগ আক্রান্ত কিনা তাহা পরীক্ষার জন্য উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কোন তদারকি না থাকায় ক্রেতা সাধারণের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। গত বছরের তুলনাই এ বছর গরু ব্যাপক দাম বেড়েছে বলে জানান ক্রেতারা। গত বছর যে সব গরু ২০/২৫ হাজার টাকায় মিলেছে সে সমব গরু বর্তমানে ৫০/৬০ হাজার টাকা বিক্রয় হচ্ছে বলে জানান অনেকে।
এদিকে এক গরু ক্রেতা চৌধুরী হাট বাজারে গরু কিনতে এসে এই প্রতিবেদক কে জানান, যানবাহনের তীব্র যানজট অন্য দিকে অসুস্ত গরু পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য নেই কোন বিশেষজ্ঞ দল অন্য দিকে জাল টাকার ব্যপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তেমন নজরদারীও নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন