গফরগাঁও উপজেলা সদরসহ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের আবহমান গ্রামবাংলার ছোট-বড় হাটবাজার গুলোতে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মাছ ও মুরগীর দাম প্রতিনিয়তই কমে যাচ্ছে। স্থানীয় মাছ ও মুরগী ব্যবসায়ীরা জানান, পাইকারী দরে বেশী দামে মাছ ক্রয় করে লোকসান গুণতে হচ্ছে। অন্য দিকে মুরগীসহ অন্যান্য শাক-সবজিও দাম অনুরুপ ভাবে হ্রাস পেতে যাচ্ছে। কোরবানির গরু/ছাগলের গোশত ফ্রিজে রাখার হবে বলে মাছ ক্রয় করছে না বহু পরিবার। তবে নিম্নে শ্রেণীর পরিবারের মধ্যে কোরবানির গোশত মজুত করে রাখার আমেজ নেই বলে তাদের ঘরে ঈদের আনন্দ হবে না। বর্তমানে পানির দরে বিভিন্ন ধরনের মাছ বিক্রি হচ্ছে। দৈনিক মুরগী প্রতিকেজিতে ১০/২০ করে কমে গেছে।
মুরগী ব্যবসায়ী মো. আল-আমীন জানান, প্রতিদিন আমরা শত শত টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে। বেশীয় ভাগ ক্রেতা কোরবানির ঈদের সময় মুরগী ক্রয় করেনা। ফলে প্রতিদিন বিক্রি কমে যাচ্ছে। গফরগাঁও বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মো. করিম জানান, গত ১৫/২০ দিন যাবত মাছ বিক্রি করে লোকসান হচ্ছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে যে, এই সময়ে বেশীর ভাগ লোকজন মাছ ক্রয় করেনা।
অন্যদিকে এখনকার সময়ে মাছের ভরা মৌসুম। তাই মাছের দাম কমে গেছে। গফরগাঁও উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার হতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাছ-মুরগী নেয়া হতো। কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে এখন আর ঢাকা নেয়া হয়না। বিভিন্ন গ্রামবাংলার আনাচে-কানাচে প্রতিনিয়তই হরদম মৎস্য খামার/মুরগীর খামার বেড়েই চলছে। ফলে প্রতিনিয়তই উৎপাদন বেড়েই চলছে। অনেকেই কোরবানির। ঈদের গোছত রাখার জন্য ফ্রিজে খালী করা হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবারে কোরবানি দেয়ার সংখ্যা বাড়তে পারে। হাট-বাজারে গরু-ছাগলের দামও কিছুটা বেশী। গ্রামের আনাচে-কানাচে বাজার গুলোতে এখন পুরোদমে গরু-ছাগল বিক্রি হচ্ছে। অন্য দিকে গফরগাঁও উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাটবাজারগুলোতে প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে বিভিন্ন মডেলের ফ্রিজ বিক্রি বেড়ে গেছে। এখন গ্রামবাংলার আনাচে-কানাচে বিদ্যুতের নতুন নতুন লাইনের হওয়ার ফলে লোকজন ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের বিদ্যুতের নিত্যপ্রয়োজনীয় উপকরণ ক্রয় করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন