সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের পার্শেমারি লক্ষীখালী ঘের নিয়ে সাত বছরে সাতজন হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে।
সর্বশেষ প্রতিপক্ষের হামলায় গত বুধবার রাতে আমিরুল সরদার নামে একজন হত্যাকান্ডের শিকার হন। এ ঘটনায় ১৯ জনের নামে মামলা হলেও এখনো গ্রেফতার হননি কেউ। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, শ্যামনগরের পার্শেমারি চিংড়ি ঘের দখল নিয়ে মজিদ লিটন ও আসাদুল্লাহ গালিব বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে ২০১২ সালে খুন হন ঘের কর্মচারী মো. আকিজউদ্দিন। এরপর ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর খুন হন ঘের মালিক আসাদুল্লাহ আল গালিব।
২০১৪-এর ৯ অক্টোবর গালিবের ছেলে নূরন্নবী জোয়ার্দার ও মজিদের কর্মচারী আরিজুল ইসলাম খুন হন। এরপর ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর খুন হন শফিকুল ইসলাম। ২০১৮ সালের ১২ অক্টোবর খুন হন ঘের মালিক আবদুস সাত্তার সরদার। এরপর বুধবার (১৪ আগস্ট) রাতে খুন হন আমিরুল সরদার।
বারবার সংঘর্ষ ও হত্যার সঙ্গে পার্শেমারি ঘের দখলে হাতবদল হয়ে আসছে। বর্তমানে ঘেরটির দখলে রয়েছেন দুই ভাই রবিউল জোয়ার্দার ও কোহিনূর জোয়ার্দার। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আমিরুল সরদার (৪০) গত বছর একই ঘের নিয়ে নিহত সাত্তার জোয়ার্দার হত্যা মামলায় জেল খেটে স¤প্রতি জামিনে বাড়ি ফিরেছেন। গত বুধবার রাত ৮টার দিকে পার্শেমারি বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় তাকে পেছন দিক থেকে বাঁশের মোটা লাঠি দিয়ে মাথায় কয়েকবার আঘাত করেন রবিউল জোয়ার্দার। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
শ্যামনগর থানার ওসি আনিসুর রহমান জানান, হত্যাকান্ডের ঘটনায় ১৯ জনের নামে মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন