তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা
রাজশাহীর তানোরে বে-সরকারি সংস্থা ‘খ্রিস্টিয়ান কমেনেশিয়ান ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ ‘সিসিডিবি’ নীতিমালা লঙ্ঘন করে ধান বীজের জন্য সাধারণ কৃষকের কাছে থেকে কম দামে সাধারণ ধান কিনেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে সাধারণ কৃষকের কাছে থেকে সিসিডিবির ধান ক্রয়ের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার কৃষকদের মধ্যে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়। সংশ্লিষ্ট বিভাগে শুরু হয়েছে ব্যাপক তোলপাড়। এদিকে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা যাচাই-বাছাই ছাড়া এভাবে সাধারণ কৃষকের কাছে থেকে ধান ক্রয় করায় সিসিডিবির ধান বীজের মান নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হচ্ছে। এলাকার কৃষকের প্রশ্ন তারা আগামীতে এসব ধান বীজ কিনে প্রতারিত হলে সেই দায় নিবে কে? অথচ নিয়মানুযায়ী যে প্রতিষ্ঠান ধান বীজের জন্য ধান সংগ্রহ করবে তাদের নিজস্ব চুক্তিবদ্ধ কৃষক থাকতে হবে এবং এসব কৃষকের কাছে থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহ করতে হবে। কিন্তু সিসিডিবি এসব নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে ধান বীজের জন্য সাধারণ কৃষকের কাছে থেকে ধান সংগ্রহ করেছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, তানোরে চলতি বোরো মৌসুমে সিসিডিবি তানোর পৌর এলাকায় একটি চাতাল মিল ভাড়া নিয়ে সেখানে ধান বীজের জন্য সাধারণ কৃষকের কাছে থেকে জিরা ও ব্রি-২৮ ধান ক্রয় করা হয়। আবার একই চাতালে ব্রি-২৮ ও জিরা ধান শুকানো-পরিষ্কার করা হয় এবং ধান মাড়াই করা হয় এতে ধানের মিশ্রণ ঘটে। তানোরে সিসিডিবি জিরা ও ব্রি-২৮ জাতের প্রায় ১৫ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করেছে। অথচ আগামী মৌসুমে এসব ধানই ধান বীজ বলে সাধারণ কৃষকের কাছে বিক্রি করা হবে। এদিকে দেশে জিরা ধানের কোনো অনুমোদিত বীজ ধান নাই এগুলো বিভিন্নভাবে চোরাপথে দেশের বাজারে আসছে। কিন্তু সিসিডিবি এবার সাধারণ কৃষকের কাছে থেকে জিরা ধান কিনেছেন বীজ তৈরির জন্য আগামী মৌসুমে এসব ধানই বীজ ধান বলে কৃষকের কাছে চড়া দামে বিক্রি করা হবে। বিশেষজ্ঞদের অভিমত এখনই এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া না হলে আগামীতে এসব ধান বীজ রোপণ করে কৃষকরা ক্ষতিগ্রত হতে পারেন। চলতি মৌসুমে সিসিডিবি কৃষকের কাছে থেকে কোন কোন জাতের ধান কি দামে কতটুকু ক্রয় করেছেন, জিরা ধান বীজের কোনো অনুমোদন আছে কি না, না থাকলে তারা কিভাবে এসব ধান কিনছেন ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চাইলে তানোর সিসিডিবি কর্তৃপক্ষ এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানাতে পারেনি। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তানোর সিসিডিবি’র কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বলেন, তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ধান ক্রয় করেছেন। তিনি বলেন, সিসিডিবিতে ধান বীজ নিয়ে অনিয়মের কোনো সুযোগ নাই। তিনি বলেন, তাদের জায়গার সমস্যা থাকায় তারা বাইরের চাতাল ভাড়া নিয়ে সেখানে ধান ক্রয় করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন