সিলেটের ওসমানীনগরে ব্যবসায়িক প্রাণ কেন্দ্র গোয়ালাবাজার। এ বাজার থেকে প্রতিবছর সরকার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে থাকে। কিন্তু যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা পেলে বাজারের সুন্দর্য নষ্ট করার পাশাপাশি পরিবেশ দুষিত করা হচ্ছে। মানুষের চলাচলের রাস্তায়ও ফেলা হচ্ছে আবর্জনা। দুষিত হচ্ছে পরিবেশ। নাক চেপে চলাফেরা করতে হচ্ছে পথচারিদের। পরিবেশ দুষণ মারাত্মক রূপ ধারণ করলেও ময়লা-আবর্জনা ব্যবস্থাপনার দিকে নজর নেই কারও।
জানা যায়, উপজেলার ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র গোয়ালাবাজার থেকে প্রতি বছর প্রায় দেড় কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করা হয়। কিন্তু বাজারের ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গার অভাবে বাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কৃষি জমি এবং খালে গড়ে তুলেছে ময়লার ভাগাড়। সড়কের দুপাশে ময়লার ভাগাড়ের দুর্গন্ধে নাক চেপে ধরে হাঁটতে হয় পথচারীদের। গেয়ালাবাজারের পূর্ব দিকে অবস্থিত পুকুর পাড় থেকে অটোরিকসা স্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুধারে দীর্ঘদিন ধরে আবর্জনা পেলে স্তুপ করা হয়েছে। এই আবর্জনার স্তুপ এখন পাকা রাস্তার উপরও হচ্ছে। ছড়িয়ে পড়েছে অসহ্য দুর্গন্ধ। ময়লার পানি রাস্তার উপর দিয়ে গড়ি যাচ্ছে।
কুরবানির শতাধিক চামড়া পরিবেশ আরো খারাপ করা হয়েছে। গোয়ালাবাজারের পাশে ঘয়নাঘাটের খালের ওপর ময়লা ফেলার কারণে পরিবেশ দুষণ হচ্ছে। ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে যাচ্ছে খাল। অথচ কয়েক বছর আগে সরকার এই খালটি খনন করেছে। পানি দ্রুত নিস্কাশন ব্যবস্থা বন্ধে উপক্রম হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে দুর্গন্ধে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। এতে করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ পথচারী, যানবাহনের আরোহীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সেই সাথে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এ ছাড়া সড়কের পাশে অনেক জায়গায় ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা যায়। পানি নিষ্কাষনের অভাবে গোয়ালাবাজারের অলিগলিতে পানিও জমে থাকে।
স্থানীয় সংশ্লিষ্টদের তদারকির অভাব, খামখেয়ালি এবং বাজারের কিছু অসৎ ব্যক্তিদের কারণে এমন অবস্থার তৈরি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা দাবি করেন। এলাকাবাসী জানান, কয়েকবছর থেকে ওই এলাকায় ময়লা ফেলা শুরু হয়। গভীর রাতে ও ভোর রাতে কে বা কারা ভ্যান বা টেলাগাড়ি যোগে ময়লা ফেলে যায়। এসব কারণে দুর্গন্ধ তো আছেই। বিশেষ করে, পথটি অতিক্রম করার সময় বেশি কষ্ট করতে হয়। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাম্প্রতিক সময়ে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান অব্যাহত রাখলেও বাজারের এই দূরবস্থার খবর রাখছে না কেউ।
গোয়ালাবাজার বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মানিক বলেন, গোয়ালাবাজারের ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য সরকারি কোনো নির্দিষ্ট জায়গা নেই। কোটি টাকার বেশি রাজস্ব প্রদানকারী এই বাজারে ময়লা ফেলার জন্য কোনো গাড়িও নেই। বাজারের ময়লা ব্যবস্থাপনার জন্য গাড়ি এবং আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছি উপজলা প্রশাসনের কাছে।
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, বাজারের ময়লা ফেলার জন্য সরকারি নির্দিষ্ট জায়গা আছে। বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির বিষয়টি দেখভাল করার কথা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন