মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের ফেরাতে চীনের প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন বলে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে গত ১-৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনের প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট দু’জনেই ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। চীন সব রকমের সহযোগিতা করবে। তারা বলেছেন যে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য যতো রকমের সহযোগিতা দেয়া দরকার তারা দিয়ে যাবে এবং মিয়ানমারকে বোঝানোর জন্য চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দুইবার পাঠানো হয়েছে। আরো যদি পাঠানোর প্রয়োজন হয় পাঠাবেন এবং উনারা যতো রকমের সাহায্য সহযোগিতা দরকার, দিবে। আর ওখানে পরিবেশ তৈরির জন্যও সাহায্য করবে- এটা একটা বড় প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কী চীনের মধ্যাস্ততায় হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, চীনের একটা বেশ বড় ভ‚মিকা আছে।
আগামী ২২ আগস্ট তিন হাজারের বেশি রোহিঙ্গা ফেরানোর বিষয়ে আলোচনা রয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কি ২২ তারিখে হচ্ছে- এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, না। এটা মনে হয় এখনও ফাইনাল হয়নি। সেজন্য বলতে পারছি না। প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের সময় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্যও একটি এমওইউসহ বিভিন্ন সেক্টরে ৯টি এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়। বিশেষ করে বিদ্যুৎ সেক্টরে অনেকগুলো এমওইউ এবং নদী শাসন, ট্যুরিজম নিয়ে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০২১ সালের বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে এবং ২০৪১ সালে আমরা উন্নত দেশ হবো। এ জন্য যতো রকমের সহযোগিতা দরকার সেই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। চীনের বিপরীতে বাংলাদেশের যে বাণিজ্য ঘাটতি আছে- এটা যতো কমানো যায়, এটার জন্য চীন যতো রকমের সাহায্য দরকার দেবে। আর চীনের অর্থায়নে প্রকল্পগুলোর শর্তাবলী শিথিল করে ঋণের অর্থ যতো দ্রুত ছাড় করা যায়, তার জন্য চীন ব্যবস্থা নেবে। -এই চারটি প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে।
মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর স্থবিরতা কাটছে
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর মালয়েশিয়া সফর (১১-১৭) নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সফলের প্রেক্ষিতে তাদের ওয়ার্কিং গ্রুপ বাংলাদেশে আসবে এবং আমাদের যে ম্যানপাওয়ার এক্সপোর্টের বিষয়ে যে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে, সেটা কেটে যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন