বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

পর্যটক হারানোর শঙ্কায় চায়ের রাজধানী মৌলভীবাজার

এস এম উমেদ আলী, মৌলভীবাজার থেকে | প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০২ এএম

প্রকৃতির লীলাভূমি হিসাবে পরিচিত পর্যটন জেলা এবং চায়ের রাজধানীখ্যাত মৌলভীবাজার জেলা। কিন্তু এবছর যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশার কারণে পর্যটক হারানোর শঙ্কায় পর্যটন নগরী মৌলভীবাজার। এর ফলে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাবে সরকার।

জেলায় পর্যটকদের জন্য রয়েছে নয়নাভিরাম শতাধিক চা বাগান, জীব্যবৈচিত্রে ভরপুর লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, দেশের বৃহত্তম জলরাশি মাধবকুন্ড জলপ্রপাত, দূর্গম পাহাড়ের গহিন জঙ্গলে হামহাম জলপ্রপাত, এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওর, দোসাই রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টার, গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্টসহ আরো অনেক অনন্য সুন্দর আকর্ষণীয় স্থান।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বছর পর্যটক হরানোর মূল কারণ সড়কগুলোর বেহাল দশা ও ঘন ঘন রেল দূর্ঘটনা। বিষয়টি সরকারের দেখা উচিৎ বলে মনে করছেন তারা।
তারা আরো বলছেন, কমলগঞ্জ উপজেলার হামহাম জলপ্রপাত যাওয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হলে পর্যটকদের সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে। যা থেকে সরকার বিপুল পরিমাণে রাজস্বের অধিকারী হবে।
জেলা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, জেলার প্রায় ১৬শ’ কিলোমিটার পাকারাস্তার মধ্যে এবারের বন্যায় ৩৩ কিলোমিটার রাস্তা ও ১৫ টি ব্রিজ কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা টাকার অর্থে ক্ষতির পরিমান ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকারও বেশী।
মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপদ সূত্রে জানায়, তাদের আওতাধীন ৫ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কিন্তু বেসরকারি হিসেবে ২০ কিলোমিটারের চেয়ে অনেক বেশি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সড়ক ও জনপদের মৌলভীবাজার-শমসেরনগর আঞ্চলিক মহাসড়ক দীর্ঘ ৩ বছর ধরে বেহাল অব¯থায় পড়ে আছে। ফলে এই পথে যাতায়াতকারীদেরকেও চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এছাড়াও জেলার শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ, শমসেরনগর-কুলাউড়া, কুলাউড়া-জুড়ী, জুড়ী-বড়লেখা ও মৌলভীবাজার-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের বেহাল অবস্থা। এই রাস্তা গুলোই হচ্ছে জেলার প্রধান সড়ক। এই রাস্তা গুলো সংস্কারের জন্য স্থানীয়রা দীর্ঘ দিন যাবত স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার অবেদন করলেও এখন পর্যন্ত কাজ শুরু হয়নি। তবে কাজ শুরু’র বিষয়ে তারা আশ্বস্ত করছেন।
কয়েকজন রেস্ট হাউজ মালিকের সাথে কথা হলে তারা জানান, অনেক জায়গায় সড়কের সংস্কার কাজ চলায় এসব স্থানে পর্যটকদের দূর্ভোগ পোহাতে হবে। তারপরেও আমরা আশাবাদী এবছর পর্যটকদের সমাগম ঘটবে।
শ্রীমঙ্গল আবাসন সেবা সংস্থার আহবায়ক ও টি হেভেন রিসোর্টের স্বত্বাধীকারী আবু সিদ্দিক মো. মুসা জানান, ২০১৫ ও ১৬ সালে সরকারি ছুটি থাকায় পর্যটক বেশী এসেছিল। ১৩, ১৪, ও ১৮ সালে পর্যটক কম এসেছিল এবছর ডেঙ্গুর জন্য পর্যটক কম আসতে পারে।
শ্রীমঙ্গল ট্যুরিস্ট জোনের পুলিশ পরিদর্শক মঈন উদ্দিন জানান, ঈদের ছুটিতে আইনশূঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য পর্যটন স্থানগুলোতে পুলিশের টহল জোরদার থাকবে।
মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ জানান, এরকম উৎসবের সময়ে আমরা কয়েক স্তরের নিরাপত্তা নিয়ে থাকি যাতে পর্যটন এলাকায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন