তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা
রাজশাহীর তানোরে কচুয়া আইডিয়াল কলেজ অধ্যক্ষ ফুল মোহাম্মদ-এর বিরুদ্ধে ফের জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর পিতা আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। চলতি বছরে কচুয়া আইডিয়াল কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ছাত্র ভর্তিতে এই জালিয়াতি করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তানোরের মুন্ডুমালা পৌর এলাকার টকটকিয়াপাড়া (প্রকাশনগর) গ্রামের বাসিন্দা আমিনুল ইসলামের পুত্র ফয়সাল হোসেন কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি বছরে এসএসসি পরীক্ষায় (জিপিএ-৫) পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। সে উচ্চ শিক্ষার জন্য রাজশাহী কলেজসহ আরো বেশ কয়েকটি সরকারি কলেজে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন করতে গিয়ে জানতে পারে, তার অজান্তেই তাকে কচুয়া আইডিয়াল কলেজে ভর্তি ও তার প্রথম পছন্দ কচুয়া আইডিয়াল কলেজ দেখানো হয়েছে। ফলে উচ্চ শিক্ষার জন্য মেধাবী ফয়সাল হোসেন প্রথম পছন্দ হিসাবে কোনো সরকারী কলেজের নাম উল্লেখ করতে পারেনি। অধ্যক্ষের প্রতারণার কারণে তার উচ্চ শিক্ষার আশা অনেকটা উবে গেছে। এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগী সচেতন মহলে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। মেধাবী ফয়সালের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নষ্টের জন্য তারা অধ্যক্ষ ফুল মোহাম্মদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে। আর জালিয়াতির এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই অধ্যক্ষ ফুল মোহাম্মদ জনরোষ থেকে পিঠ বাচাতে আত্মগোপন করেছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, তানোরের কচুয়া আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ ফুল মোহাম্মদ কৌশলে শিক্ষার্থী ফয়সাল হোসেনের রোল নম্বর ১০৫৪৬২ ও রেজি নম্বর ১৩১২৬১৪৭৭৪ সংগ্রহ ও জালিয়াতির মাধ্যমে গোপনে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তিতে শিক্ষার্থীর প্রথম পছন্দের কলেজ হিসাবে কচুয়া আইডিয়াল কলেজের নাম অন্তর্ভুক্ত করে দেন। অধ্যক্ষ ফুল মোহাম্মদ জালিয়াতি করে অনলাইনের মাধ্যমে আরো অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীকে তাদের প্রথম পছন্দের কলেজের তালিকায় মুঠোফোনে ‘এসএমএস’ এর মাধ্যমে তার কলেজের নাম দিয়েছেন বলে একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবগণ অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে ফয়সাল হোসেন জানান, তাকে না জানিয়ে গোপনে একজন অধ্যক্ষ কিভাবে এতো বড় জালিয়াতি করে এটা বোধগম্য নয়। তিনি বলেন, আমি কোনো ভাল কলেজে ভর্তি হতে পারবো কিনা সন্দেহ রয়েছে, যদি ভর্তি হতে না পারি এর সম্পূর্ণ দায়িত্ব অধ্যক্ষ ফুল মোহম্মদকে নিতে হবে। এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও অধ্যক্ষ ফুল মোহাম্মদ-এর ব্যক্তিগত মুঠোফোনে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন