তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দিঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৩ শতক খেলার মাঠ সবটুকুই প্রতিবেশীরা জোরপূর্বক অস্থায়ী দখল করে রেখেছে। খেলার মাঠে খেলাধুলা তো দূরের কথা শিশু শিক্ষার্থীদের মুক্ত বিচরণের জায়গারও বড় অভাব স্কুলটিতে। নিয়ম-নীতি না মেনে এভাবেই চলছে বছরের পর বছর। সরেজমিন জানা যায়, ১৯৪০ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠাকালীন নিকটবর্তী ২জন ব্যক্তি স্কুলটির নামে ৩৩ শতক জায়গা দান করেন। দাতা অপরূপের নাতি নবীর উদ্দীন (৪৯) স্কুলটির খেলার মাঠের মধ্যে কিছু জায়গা তাদের দাবি করে গৃহস্থালির কাজ করছে। তার দেখাদেখি স্কুলের সাথে বসবাসকারী অন্যান্য বাসিন্দারাও ৩৩ শতক মাঠ সবটুকুই অনুরূপ গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার করছে। স্কুলটির শিক্ষার মান ভাল হলেও মাঠটি দখল হয়ে যাওয়ায় শিশু শিক্ষার্থীদের নিকট বাইরের পরিবেশ যেন জেলখানা। এতটুকু অবশিষ্ট নেই হইহুল্লুর বা বিনোদনের জন্য। খড়ের গাদা আর গরুর গোবরে ঢাকা পড়েছে সর্বত্রই। স্কুলটির প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, স্কুলের শিক্ষার মান ভাল হলেও মাঠটি অবৈধ দখল করে রাখায় শিশু শিক্ষার্থীরা চরম বিপাকে পড়েছে। ভেতরে ভাল হলেও স্কুলের বাইরের পরিবেশ জরাজীর্ণ ও নোংরায় ভরা। তিনি উপজেলা প্রশাসনের নিকট দ্রুত মাঠটি মুক্ত করার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি আব্দুল হাকিম বলেন, দান সূত্রে ও আরএস রেকর্ড অনুযায়ী ৩৩ শতক জায়গা সবটুকুই স্কুলের। কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিবেশীদের মাঠটি মুক্ত রাখার বিষয়ে বহুবার বুঝিয়েছি ও নিয়ম-নীতির কথা বলেছি। তবে তারা কোন কিছুরই তোয়াক্কা না করে মাঠটি দখল করে রেখেছে। এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান খান বলেন, দিঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ মুক্ত করার বিষয়ে লিখিত আবেদন পেলে নিয়মানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন