জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বড়মানিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ফেসিলিটিজ ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক নির্মিত তিন কক্ষ বিশিষ্ট একমাত্র পাকা ভবনটির ছাদ সংস্কার অভাবে খসে পড়ছে। প্রয়োজনীয় শ্রেণি কক্ষ না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই ক্লাস করছে। টিনসেডের ৭টি কক্ষ থাকলেও সেগুলির জরাজীর্ণ অবস্থা। সামান্য বৃষ্টি হলেই ভাঙ্গা টিনের ফুটো দিয়ে ঘরের ভিতরে পানি পরে। ছাত্র-ছাত্রীদের বই খাতাপত্র ভিজে যায়। ফলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও পাঠদান বন্ধ রাখতে হয় বৃষ্টির সময়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আয়নুল ইসলাম জানান, বর্তমানে অত্র বিদ্যালয়ে প্রায় ৪৫০ জনের অধিক শিক্ষার্থী অত্র বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।
প্রতি বছর দেড় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী জে,এস,সি ও এস,এস,সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে, ইর্ষনীয় ফলাফল অর্জন করে। স্কাউটিং, খেলাধুলা ও সহপাঠ্যক্রমে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আধিপত্য সবসময় লক্ষনীয়। বিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় শ্রেণি কক্ষের অভাব, হলরুম না থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা সহপাঠ্যক্রম বিষয়গুলি বাইরেই করে থাকে। ১৯৯৫ সালে ৩ কক্ষ বিশিষ্ট ১টি ভবন ছাড়া সরকারি কোন ভবন বা কক্ষ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। সংস্কার অভাবে এই ভবনের ৩টি কক্ষই ড্যামেজ হয়েছে। ছাদের প্লাস্তার চাবলা খুলে পড়ছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকায় সকলেই ভীত থাকে। তিনি বলেন স্থানীয় উদ্যোগে টিন সেডের ৭টি রুম তৈরি করা হলেও এখন সেগুলির অবস্থাও শোচনীয়। সামান্য বৃষ্টি হলেই টিনের ফুটো দিয়ে ঘরের ভিতর পানি পড়ে। ছাত্র-ছাত্রীদের বই খাতাপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে যায় বছরে কয়েকবার। ফলে বৃষ্টির সময় অধিকাংশ দিন শ্রেনি পাঠদান বন্ধ রাখা হয়।
বিদ্যালয়েল সভাপতি রায়হান মনু জানান, ৯৫-এর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ও উদ্বাস্ত শিবির দেখার জন্য এই বিদ্যালয়ে এসেছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর ব্যাপকতা ও শৃংখলা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। পাশাপাশি বিদ্যালয় ভবনের দৈন্যদশা দেখে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। প্রস্তানকালে তিনি বলেছিলেন “আমরা যদি কোনদিন ক্ষমতায় আসি, এই বিদ্যালয়ের উন্নয়ন করব ইনশাআল্লাহ”। বর্তমান সরকারের শিক্ষাবান্ধব নীতির কারণে অত্র এলাকার সকল বিদ্যালয়ে ফেসিলিটিজ ও সেসিপ এর বহুতল ভবন নির্মান, প্রায় সমাপ্তীর পথে, শুধুমাত্র এ বড়মানিকা উচ্চ বিদ্যালয় ছাড়া। চলতি বছর নতুন ভবন অথবা শ্রেণিকক্ষ নির্মান করতে না পারলে ২০২০ সালের সেসনে নতুন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি ক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট মহল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন