২০১৩ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষা ধারার ফাজিল/স্নাতক এবং কামিল/স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ডিগ্রি প্রদান করা হয়। ইতিপূর্বে ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ২০০৬ সাল থেকে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হতো এবং ফাজিল/স্নাতক এবং কামিল/স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ডিগ্রি প্রদান করা হতো। কিন্তু কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ছিলো খুবই অপ্রত্যাশিত ও ধীর গতির। সেশনজটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিল তাদের কার্যক্রম। তাই সেই সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার লক্ষ্যে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলেও তেমন কোনো সুফল পাচ্ছে না এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষার্থীরা। হতাশায় দিনগুনছে শিক্ষার্থীরা। করোনার সময় সৃষ্ট সেশনজটের ফলে ২০২০ সালের ফাজিল পরীক্ষা ২০২২ সালের শুরুতে নিতে সক্ষম হলেও ২০২১ সালের ফাজিল পরীক্ষার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা লক্ষণীয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাদের স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষের পরীক্ষা প্রায় সম্পূর্ণ এবং স্নাতক (পাস) পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ সম্পূর্ণ করলেও পিছিয়ে আছে আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এখনও ফরম পূরণই শুরু করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়টি। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করতে দেরি হচ্ছে তাদের। এমতাবস্থায় পরীক্ষার্থীরা ২০২১ সালের পরীক্ষা ২০২২ সালেও দিতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না। তাই শিক্ষার্থীদের হতাশার কথা বিবেচনায় নিয়ে অতি দ্রæত ফাজিল ২০২১ এর পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে প্রতি বছর যথাসময়ে পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সেশনজট কমাতে এবং শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ারকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানাচ্ছি।
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন