শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পাদকীয়

আরবি বিশ্ববিদ্যালয় : ভিসির নৈতিক স্খলন

| প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আহসান উল্যাহ ওরফে আহসান সাইয়েদের বিরুদ্ধে গুরুতর চারিত্রিক স্খলনের অভিযোগ উঠেছে। ঢাকায় অবস্থিত ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পরিবার চট্টগ্রামের চাঁদগাও আবাসিক এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। ছুটির দিনগুলোতে তিনি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাতায়াত করেন। চাঁদগাও আবাসিক এলাকায় ভিসি আহসান উল্যাহর প্রতিবেশীরা দীর্ঘদিন ধরেই তার বিরুদ্ধে শিশুদের সাথে যৌনাচারের অভিযোগ তুলছেন বলে পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা যায়। দেশের আলেম ওলামা ও মাদরাসা শিক্ষকদের সুদীর্ঘ আন্দোলনের ফসল ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। এফিলিয়েশন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি স্বতন্ত্র আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবী পুরণ করার মধ্য দিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নি:সন্দেহে একটি গৌরবময় ঐতিহ্যের সাথে যুক্ত হয়েছেন। তবে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাই যথেষ্ট নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যাশিত মান, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সমুহ বাস্তবায়নে সরকারের সংশ্লিষ্টদের যথাযথ ভ‚মিকার কোন বিকল্প নাই। বিশেষত: এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে ধরনের যাচাই-বাছাই ও সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তা সঠিকভাবে পালিত হয়নি। এ কারণেই ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসির বিরুদ্ধে গুরুতর চারিত্রিক স্খলনের অভিযোগ দেশের ওলামা-মাশায়েখকে বিষ্মিত ও লজ্জিত করেছে।
গত সোমবার একটি পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, শিশু বলাৎকারের অভিযোগে চাঁদগাও আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. আহসান উল্যাহর বাসা অবরুদ্ধ করে রাখে এবং পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিও ক্লিপিংয়ে দেখা যায়, কিছু উত্তেজিত ব্যক্তি আহসান উল্যাহ ওরফে আহসান সাইয়েদকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করছেন এবং তিনি করজোরে ক্ষমা প্রার্থনা করছেন। অবশেষে একদিনের মধ্যে বাসা ছেড়ে সপরিবারে অন্যত্র চলে যাওয়ার শর্তে এলাকাবাসির অবরোধ থেকে তিনি রক্ষা পান বলে জানা যায়। ড. আহসান উল্যাহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৬ সালে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর পর তাকে প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে ক্ষমতা অপব্যবহারকারীদের বিশেষ সুপারিশে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ ছিল। এ ক্ষেত্রে দেশের আলেম সমাজের মতামত বা নিরপেক্ষ যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই কোন অজ্ঞাত কারণে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে শুরুতে জামায়াত কানেক্শনের অভিযোগ ওঠে, কিন্তু পরে তিনি অতি আওয়ামী লীগার রূপ ধারণ করে সরকারকেও প্রতারিত করেন বলে ধারনা করা হয়। অতীতে নিয়োগ বাণিজ্যেরও বহু অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার অবক্ষয় ও মানহীনতার বিষয় নতুন করে ব্যাখ্যাার কোন প্রয়োজন নেই। দেশের প্রায় সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম-দুর্নীতি ও অনৈতিক স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি পুরনো ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ও এহেন অভিযোগ থেকে মুক্ত নয়। তবে দেশের আলেম সমাজের দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত বিশেষায়িত উচ্চতর দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির এমন লাম্পট্য ও চারিত্রিক স্খলনের ঘটনা দেশের আলেম সমাজ, ধর্মপ্রাণ জনগন ও মাদরাসা সংশ্লিষ্ট লাখো মানুষকে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করেছে। সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি, আত্মীয়তা, আঞ্চলিকতা, খাতির ইত্যাদি বিবেচনায় ভিসি নিয়োগের কারণেই এমন ব্যক্তিরা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কলঙ্কিত করা হয়েছে।
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় একটি ধর্মীয় ঐতিহাসিক চেতনার প্রতিক। দেশের লাখো আলেমের ঘাম ঝরানো আন্দোলনের ফসল। বিভিন্ন স্তরের সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্রদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, অবক্ষয় ও নৈতিক স্খলনের অভিযোগ থাকলেও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ মেনে নেয়া যায় না। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির নৈতিক স্খলনের ঘটনার তদন্ত ও বিচার হওয়া আবশ্যক। আরবি বিশ্ববিদ্যালয় তো বটেই, দেশের আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বা শিক্ষক হিসেবে যেন এমন অসৎ ও চরিত্রহীন ব্যক্তিরা নিয়োগ না পায়, তার জন্য এদের ব্যাকগ্রাউন্ড, রক্তবংশ ও অতীত জীবন বৃত্তান্ত এবং প্রচলিত আইনের পরিবর্তনসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। দেশের আলেম সমাজের প্রত্যাশাকে বাস্তবে রূপায়িত করতে হলে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়কে বহু পথ পাড়ি দিতে হবে। এমন একজন অযোগ্য, দুর্নীতিবাজ, চরিত্রহীন ব্যক্তির অধীনে এমন একটি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতে পারেনা। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠার পর তিনি এ পদে থাকার নৈতিক ও আইনগত অধিকার হারিয়েছেন। এমন একটি দায়িত্বশীল ও উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন পদে থেকে শিশু বলাৎকারের অভিযুক্ত হওয়া ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। ন্যুনতম আত্মমর্যাদাবোধ থাকলে তিনি নিজেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে প্রতিষ্ঠানকে কলঙ্কের হাত থেকে মুক্তি দিবেন। সেই সাথে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগের ক্ষেত্রে মাদরাসা শিক্ষকদের একক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনসহ অন্যান্য অংশীজন ও দেশের আলেম সমাজের প্রতিনিধিদের মতামত এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। এমনটাই সংশ্লিষ্ট সকলের প্রত্যাশা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (17)
md salam ৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১:১২ পিএম says : 1
এরকম একজন বিতর্কিত লোককে এ পদে রাখা যাবে না।
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১:১৩ পিএম says : 1
ভিসির পদত্যাগ চাই
Total Reply(0)
K Malik ৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১:১৪ পিএম says : 1
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ইসলাম শিক্ষার শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। সেখানে কোনো সমকামী থাকতে পারে না।
Total Reply(0)
suvo ৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১:১৫ পিএম says : 2
ভিসি যদি সমকামী হয়, তাহলে ছাত্ররা কি হবে?
Total Reply(0)
daud ৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১:১৬ পিএম says : 1
ভিসি চাইলে গে দের ওয়েব সাইট থেকে এস যোগাড় করে নিতে পারতেন। বাচ্চাদের কাছে কেন?
Total Reply(0)
zamir ৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১:১৭ পিএম says : 0
এই ভিসি শুধু সমকামী নয়, শিশু ধর্ষণকারী। অবিলম্বে তার গ্রেফতার করা হোক। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্র আঙিনা থেকে বের করে দেয়া হোক।
Total Reply(0)
Md Rasel ৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১:১৮ পিএম says : 0
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির নৈতিক স্খলনের ঘটনার তদন্ত ও বিচার হওয়া আবশ্যক।
Total Reply(0)
Nazir Ahmed ৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১:১৯ পিএম says : 0
আরবি বিশ্ববিদ্যালয় তো বটেই, দেশের আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বা শিক্ষক হিসেবে যেন এমন অসৎ ও চরিত্রহীন ব্যক্তিরা নিয়োগ না পায়, তার জন্য এদের ব্যাকগ্রাউন্ড, রক্তবংশ ও অতীত জীবন বৃত্তান্ত এবং প্রচলিত আইনের পরিবর্তনসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
Total Reply(0)
Jahid Abedin ৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১:২৯ পিএম says : 0
kisu bolar vaba khuje passi na. sudu tar resignation chai
Total Reply(0)
Khan Parbez ৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১:৩৮ পিএম says : 0
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসির বিরুদ্ধে গুরুতর চারিত্রিক স্খলনের অভিযোগ দেশের ওলামা-মাশায়েখকে বিষ্মিত ও লজ্জিত করেছে।
Total Reply(0)
নাঈম ৭ নভেম্বর, ২০১৮, ৩:৩৩ পিএম says : 0
নিউজটি পড়ে লজ্জায় আমার মাথা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
Total Reply(0)
তুষার ৭ নভেম্বর, ২০১৮, ৩:৩৩ পিএম says : 0
মানুষ এত খারাপ হতে পারে এটা চিন্তা করতেও আমার গাঁ শিউরে উঠে।
Total Reply(0)
ইমরান ৭ নভেম্বর, ২০১৮, ৩:৩৪ পিএম says : 0
শুধু তার পদত্যাগই না এ বিষয় তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
Total Reply(0)
Arafat Hossain ৭ নভেম্বর, ২০১৮, ৩:৩৭ পিএম says : 1
ki bole je takey tiroskar korbo sai vasa e khuje passi na.
Total Reply(0)
mamun ৭ নভেম্বর, ২০১৮, ৪:০৩ পিএম says : 0
গালগপ্পো বানিয়ে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক ইচ্ছায় দেশের নবীন এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। নিয়োগ, উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে বেআইনি সুবিধা আদায় করতে না পেরে সামাজিকভাবে তাকে হেয়-প্রতিপন্ন করার কৌশল নিয়েছে একটি পক্ষ। উপাচার্যকে বেকায়দায় ফেলতে গত শনিবার চট্টগ্রামে সপরিবারে থাকা বাসা ঘেরাও করে গুটি কয়েক লোক। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে উপাচার্য পুলিশের সহায়তায় তার পরিবারকে উদ্ধার করেন। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম থানার ওসি মো. আবুল বাশার বলেন, পুলিশ বাড়ি ঘেরাওয়ের সংবাদ পেয়ে সেখানে ছুটে যান। তবে লোকজন যে অভিযোগ করেছেন; তখন ভিসিকে সেখানে পাওয়া যায়নি। আর অভিযোগের কোনো সত্যতা মেলেনি। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, দেশের আলেম-ওলামাদের শত বছরের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। নিয়োগ ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বেআইনি আবদার পূরণ না হওয়ায় একটি পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে আমাকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে। তা করতে না পারে সামাজিকভাবে আমাকে হেয়-প্রতিপন্ন করতে চাচ্ছে। সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্ভূট ঘটনা সাজিয়ে আমাকে ফাসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে যারা হাদিস গবেষণায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন তাঁদের মধ্যে অধ্যাপক আহসান অন্যতম। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপনা করেন এবং একই বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। গবেষণা ছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তাঁর বিচরণ। সাহিত্য জগতে আহসান সাইয়েদ নামে তিনি সমধিক পরিচিত। সুধী মহলে তিনি বহুমাত্রিক লেখক হিসেবে পরিচিত। বহুমুখী প্রতিভা নিয়েই আধুনিক বাংলা সাহিগত্যে তাঁর দীপ্র আর্বিভাব। সাহিত্যের শাখায় তাঁর সর্দপ বিচরণ তাই প্রমাণ করে। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর অধ্যাপক আহসান উল্লাহ উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কবিতা, গল্প, নাটক, উপন্যাস ও গবেষণাসহ বহু বিচিত্র বিষয়ে এ যাবৎ প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১৪টি। মিশরীয় লেখক নোবেল বিজয়ী নাজীব মাহফুজের ছোটগল্প ও সেরা আরব নাট্যকার তওফীক আল-হাকীমের নাটকের বাংলা অনুবাদ গ্রন্থ তাকে এনে দিয়েছে বিরল খ্যাতি। তাঁর মৌলিক গল্পগ্রন্থ মাঝরাতে বৃষ্টি (গল্পগ্রন্থ), গৃহবধূ পিঞ্জরের পাখি (রম্যরচনা), আপোফিসের স্বপ্ন (গল্পগ্রন্থ) ভাষা ও রচনাশৈলী সাহিত্যসমাজে বেশ আলোড়ন তুলেছে। তিতাসের অট্টহাসি কিশোরদের জন্য তার অনবদ্য সৃষ্টি। হাইজ্যাকারের পাল্লায় এ গল্পগ্রন্থ কিশোরদের জন্য তাঁর দ্বিতীয় প্রয়াস। নাট্যকার হিসেবেও তিনি শক্তিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন। ইতোমধ্যে তার অনেকগুলো নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে।
Total Reply(0)
siddik ৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১১:৪৬ পিএম says : 1
গালগপ্পো বানিয়ে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে
Total Reply(0)
ফারুক ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:১৯ পিএম says : 0
আমি বিশ্বাস করতে পারছিনা,যে ব্যাক্তি এতো বড় মাপের একজন হাদিস বিশারদ হতে পেরেছে তিনি কখনও সমকামীতার মত জঘন্য অপরাধ তিনি কখনও করতে পারে বলে আমার মনে হয় না।কারণ তিনি একজন হাদীস বিশারদ তার মানে হচ্ছে তার ভিতরে অগনিত হাদিস রয়েছে আর যার ভেতর হাদিস আছে সে কখনো এমন কাজ করতেই পারে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন