বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে ভারতীয় রুপীর দরপতন ঘটেছে। গত এক সপ্তাহ বাংলাদেশি টাকার মান বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। গত শুক্রবার মার্কিন এক ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মূল্য দাঁড়ায় ৭৩.৬৬। এ হিসেবে গত কয়েক মাসে রুপির মান কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ। ফলে এক ডলারের দাম এখন ৭৭.৬৬ রুপি। যেখানে বাংলাদেশি ৮৩ টাকায় এক ডলার পাওয়া যায়। বাংলাদেশি ১০০ টাকায় পাওয়া যায় ৮৫ রুপি। টাকার পরিবর্তে রুপির দর এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন।
বেনাপোল চেকপোস্টে ভারতীয় ব্যবসায়ী দিপক কুমার বলেন, ডলারের বিপরীতে রুপির যে হারে অবমূল্যায়ন হয়েছে, সে হারে টাকার অবমূল্যায়ন হয়নি। যার কারণে রুপির মান টাকার কাছাকাছি চলে এসেছে। ফলে ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে কিছুটা সুবিধা হলেও ভারতে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের দাম বেড়ে চাহিদা কমবে। এছাড়া তেলের উচ্চমূল্যের কারণে ভারতীয় মুদ্রা সংকুচিত হয়ে পড়ছে। তবে এখনও ভারতীয় অর্থনীতি শক্তিশালী।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি রফতানি কারক সমিতির সহ সভাপতি আমিনুল হত জানান, সারা পৃথিবীতে মুদ্রার বাজারে যে উথাল পাথাল চলছে তাতে বাংলাদেশি টাকা ডলারের বিপরীতে বেশি রেজিলিয়েন্স বা দৃঢ়তা দেখাতে পেরেছে বলেই রুপির তুলনায় টাকার দর বেড়েছে। এই প্রবণতা বজায় থাকলে বাংলাদেশে ভারতের আমদানি পণ্য আরো বাড়বে। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে যারা পর্যটন বা চিকিৎসার জন্যে ভারতে যাবে তাদের সুবিধা হবে।
বাংলাদেশ থেকে ভারতগামী পাসপোর্টযাত্রী মামুনুর রহমান জানান, ভারতে ডাক্তার দেখাতে বা দর্শনীয় স্থান ও তীর্থস্থান ভ্রমণের জন্যে যারা যাবেন তাদের জন্যে এটা সুখবর। কারণ টাকা বদলানোর পর তাদের হাতে নগদ রুপি এখন অনেক বেশি আসবে। ভ্রমণকারীরা এক ডলারের আগের তুলনায় বেশি রুপি পাবেন। এতে পণ্য কেনাকাটায়ও খরচ কম লাগবে। এ বছরের গোড়ার দিকে কোনো বাংলাদেশি ভারতে ১০ হাজার টাকায় যে পণ্য কিনেছেন সে একই পণ্য এখন কিনতে তার আরো এক হাজার টাকা কম লাগবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন